বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১১

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘চেতনা ৭১’

বৃহস্পতি, ২৮ জুলাই ২০১১, ১৩ শ্রাবণ ১৪১৮




শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেটবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধারণ করে রাখতে ভাস্কর্য নির্মাণ করার জন্য প্রগতিশীল ও মুক্ত চর্চায় বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের  প্রাণের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু নানা বাধাবিপত্তির কারণে আর সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য থাকলেও ছিল না শুধু শাবিপ্রবিতে। তাই শিক্ষার্থীদের সে স্বপ্নকে পূরণ করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায় দেড় বছর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৯তম সিন্ডিকেট সভায় ভাস্কর্য নির্মাণের ব্যাপারে অনুমোদন দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন আজও নির্মাণ করতে পারেনি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। আর তাই  প্রশাসনের  কাজের মন্থর গতি দেখে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই উদ্যোগ নেয় পকেট থেকে টাকা তুলে ভাস্কর্য নির্মাণ করার। তাদের সেই সিদ্ধান্তটি আজ বাস্তব হতে চলছে।
দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও ধৈর্য্যের সাথে এগুতে থাকে বাস্তব স্বপ্নটি। প্রশাসন কথা রাখেনি, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সেই অমোঘ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রথমে একাডেমিক ভবন-এর পাশে ‘চেতনা-৭১’ নামের একটি অস্থায়ী প্রতীকী ভাস্কর্য স্থাপন করে। শিক্ষার্থীদের সেই দাবীকে হারিয়ে যেতে দেয়নি ২০০৫/০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ কাজের জন্য (২০০৫-০৬) সেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি অর্থায়ন করেছে প্রথম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকও অর্থায়ন করেছে। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ বিল্ডিংয়ের উত্তর পার্শ্বে চেতনা ৭১ নামের ভাস্কর্যটি নির্মিত হচ্ছে। আগামী ২৮ জুলাই ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
ভাস্কর্যের বর্ণনাঃ  নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি নৃপল খান। আর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছে তারই সংগঠন ‘নৃ’ এর স্কুল অব স্কাল্পচার। ভাস্কর্যটিতে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেলে ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উঁচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং ছাত্রীর হাতে বই, যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবনগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লট ৩টা বানানো হবে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটার ব্যাস হবে ১৫ ফুট, মাঝের প্লেটের ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং উপরের প্লেট হবে ১২ ফুট। প্রত্যেকটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উঁচু হবে। প্লেট ৩ টার উপরে মূল বেদিটি হবে ৪ ফুট উঁচু, তার উপরে ৮ ফুট উঁচু ফিগার। মুক্তবুদ্ধি চর্চায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী এখন বাস্তব অঙ্কুরোদগমের দিকে। ভাস্কর্যটির শুভ উদ্বোধন করার মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্ম নিবে এক নব ইতিহাসের।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/31195/2011-07-28/21

ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি

লেখক: তামিম মজিদ  |  বৃহস্পতি, ২৮ জুলাই ২০১১, ১৩ শ্রাবণ ১৪১৮
কৃষি, খাদ্য ও চা শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আপনি যদি যদি দক্ষ খাদ্য ও চা প্রকৌশলী হতে চান তাহলে পড়তে পারেন দেশের একমাত্র শাবিপ্রবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগে।
গোড়ার কথাঃ একঝাঁক মেধাবী দক্ষ খাদ্য ও চা প্রকৌশলী তৈরির লক্ষ্যে দেশে একমাত্র সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ‘টি টেকনোলজি’ বিভাগ খোলা হয়। যাত্রা শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের মন আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় নতুন এই বিষয়টি। শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয়ের র্যাংকিংয়ে প্রথম দিকে অবস্থান এফইটিটি। ২০০৪-০৫ সেশনে বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর যুগের চাহিদার সাথে কর্মক্ষেত্র প্রসার ও খাদ্য শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ জোগানের লক্ষ্যে ২০০৫-০৬ সেশনে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করে ‘ফুড এন্ড টি টেকনোলজি’ বিভাগ নামধারণ করে। অবশেষে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি’ বিভাগ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকৌশল বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সমপ্রতি বিভাগে মাস্টার্স কোর্সও চালু করা হয়েছে।
কীভাবে ভর্তি হবেনঃ এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার জন্য সার্কুলার দেয়া হয়। ভর্তি সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় জানতে www.sust.edu লগইন করলে ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন। আপনার রেজাল্ট যদি এসএসসি ও এইচএসসি উভয় মিলে ৬.৫ পয়েন্ট থাকে তাহলে আপনি ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এ বিভাগের ৩০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়।
কি পড়ানো হয়ঃ বর্তমান বিশ্বে চাহিদাসম্পন্ন বিষয় হিসেবে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি আলাদা একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের স্বল্পসংখ্যক      মেধাবী শিক্ষার্থীই এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। খাদ্য ও চা শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষ প্রকৌশলী এবং গবেষক হিসেবে গড়ে তুলতে এ বিভাগের আওতায় পড়ানো হয় ফুড প্রিন্সিপ্যাল অফ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন, সেফটি এন্ড সেনিটেশন অফ ফুড ইন্ডাস্ট্রি, ইউনিট অপারেশন অফ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইন ফুড এন্ড টি ইন্ডাস্ট্রি, টি ফিজিওলজি, এ্যাগ্রো টেকনোলজি অফ টি, জেনেটিক্স এন্ড টি ব্রিডিং, টি ম্যানুফেকচারিং এন্ড প্যাকেজিং, এ্যানটোলজি এন্ড প­্যান্ট প্যাথোলজি অফ টিসহ মোট ১৬২ ক্রেডিটের নানা বিষয়।
কর্মক্ষেত্রঃ বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগটি নতুন সৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় এর কর্মক্ষেত্র রয়েছে। বিভিন্ন চা এস্টেট ও খাদ্য শিল্প এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মূল কর্মক্ষেত্র। প্রকৌশল ডিগ্রি থাকায় খাদ্য ও চা শিল্পে এফইটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এছাড়া চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবেও এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/31203/2011-07-28/21

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১১

সিলেটের প্রথম ভাস্কর্য শাবিতে, ‘চেতনা ৭১’ উদ্বোধন ৩০ জুলাই

তামিম মজিদ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় :




বৃহত্তর সিলেটের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে । প্রতিষ্টার ২১ বছর পরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ও তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে মৌলবাদীদের বাধাঁ উপেক্ষা করে চেতনা ৭১ নামের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসের এ বিল্ডিংয়ের উত্তর পার্শ্বে নির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হবে আগামী ৩০শে জুলাই। ভাস্কর্যের উদ্বোধন করবেন শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক সালেহ উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫/০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে ও প্রথম ব্যাচের (১৯৯০-৯১) শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তায়  সিলেট বিভাগে এই প্রথম ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবিবার দুপুর ১২টায় শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চেতনা ৭১ ভাস্কর্য কমিটির সদস্য সচিব ও শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী খুরশীদ আলম হিতু। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাস্কর্য কমিটির সদস্য সাজ্জাদ শাহ ফয়সাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহবায়ক ফেরŠস হাসান । নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি মোবারক হোসেন নৃপল । আর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছে তারই সংগঠন ‘নৃ’ এর স্কুল অব স্কালচার।
ভাস্কর্যটিতে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেলে ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং  ছাত্রীর হাতে বই,যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুতারোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবন গুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লেট ৩ টা বানানো হবে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটার ব্যাস হবে ১৫ ফুট,মাঝের প্লেটের ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং উপরের প্লেট হবে ১২ ফুট। প্রত্যেকটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উচু হবে। প্লেট ৩ টার উপরে মুল বেদিটি হবে ৪ ফুট উচু, তার উপরে ৮ ফুট উচু ফিগার। ক্যাম্পাসে ভাস্কর্য নিমর্অণের মধ্য দিয়ে প্রগতিশীল ও মুক্ত চর্চায় বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের  দীর্ঘদিনের  প্রাণের দাবী ছিল পূরণ হবে।

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১১

শা’বিতে ৩ টি উপ-গ্রুপে বিভক্ত ছাত্রলীগে কোন্দল চরমে : কমিটি নিয়ে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

শাবি প্রতিনিধি
সিলেটনিউজ২৪.কম







সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলীয় কোন্দল এখন চরমে।
ছাত্রলীগের পূণার্ঙ্গ কমিটির বিভিন্ন  পদ নিয়ে গ্র“প গুলোর মধ্যে অসন্তুষ্টি ও কোন্দল দেখা দিয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগে ৯টি গ্র“প থাকলেও বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৩ টি উপগ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়েছে শাবি ছাত্রলীগ।

পদ নিয়ে কোন গ্র“পই কেউ কাউকে  ছাড় দিতে নারাজ। বিভিন্ন গ্র“পের দাবী অনুযায়ী পদ দিতে না পারায় আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমনের সাথে বিভিন্ন গ্রুপের নেতাদের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের গ্র“প গুলো যে কোন সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশাংকা করছেন সাধারন নেতাকর্মীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ এপ্রিল ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে আহবায়ক, ৬ জন যুগ্ম আহবায়কসহ মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বিধান রাখা হয়। উক্ত আহবায়ক কমিটিকে ৯০দিনের মধ্যে বাকী ৪৪টি পদ পূরণ করে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগে ৯টি গ্র“প থাকলেও বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৩ টি গ্র“প- উপগ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমন, যুগ্ম আহবায়ক নাঈম হাসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কামরুজ্জামান সুইট, মাহিবুল হাসান মুকিত, আতিকুর রহমান আতিক মিলে একটি গ্র“প।
হাফিজ সহ গ্র“পের সিনিয়র নেতাকর্মী মিলে ১টি ও অপর একটি গ্র“প হচ্ছে আহবায়ক কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা প্রজন্ম-৭১ গ্র“পের নেতা অঞ্জন রায়, সানি-পলাশ গ্র“প, রাশেদ, সৈকত, গ্র“প, ও সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল্লাহ মারুফ, জুয়েল, নিয়াজ, হাসান,বাপ্পিসহ তাদের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতারা।
 পূর্ণাঙ্গ কমিটির পদ পেতে ও নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে হাফিজ গ্র“প ও পদবঞ্চিতরা গ্র“পের নেতাকর্মীরা গত কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে শোডাউন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, পূর্নাঙ্গ কমিটির পদ  নিয়ে একেক গ্র“প একেক রকম দাবী করছে। এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
গত ১৪ জুলাই হাফিজ  গ্র“পের কর্মীদের নিয়ে বিশেষ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ ৪৪টি পদের মধ্যে গ্র“পের নেতাকর্মীদের চাপে ২০টি পদ দাবী করেছেন।  নেতাকর্মীদের  দাবির প্রেক্ষিতে গ্র“প লিডার হাফিজ দাবিকৃত পদ এনে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
তবে পদ নিশ্চিত করার জন্য আহবায়ক কমিটির সাথে তিনি কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে আহবায়ক কমিটি থেকে কোনো সাড়া পাননি বলে জানা গেছে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে  বৃহস্পতিবার  ঔই গ্র“পের নেতাকর্মীরা সৎ,যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবিতে ক্যম্পাসে শোডাউন দিয়েছে।
এছাড়া , অপর গ্র“প গুলোও কেউ ১০টি কেউ ১৫টি এরকম দাবী করে আসছে। গ্র“পের দাবী অনুযায়ী পদ দিতে হলে একশতরও বেশী পদ সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গ্র“প গুলোর চাহিদা অনুযায়ী পদ না থাকা ও এ অবস্থায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমন।  কমিটিতে পদ না পাওয়ার আশাংকায় বিভিন্ন গ্র“পে ভাঙ্গনের আশংকা দিয়েছে। কয়েকটি গ্র“প ভেঙ্গেও গিয়েছে।
শাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক  হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ছাত্রলীগে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমি যে দাবী ২০টি পদের করেছি তা যুক্তিসংগত। কারণ আমার গ্র“পে ত্যাগী নেতারা আছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমন বলেন, সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত ও আবেদন করতে হয়। আবেদন চাওয়ার পর তারা তা না করে ক্যাম্পাসে শোডাউন করছে। গ্র“প গুলোর পদের দাবীর ব্যাপরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে গ্র“প অনুযায়ী কোন পদ দেওয়া হয় না। নিদিষ্ট করে কোন পদ দেয়নি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।  ছাত্রলীগে কোন অসাংগঠনিক কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি  ব্যবস্থা নেবে।

http://www.sylhetnews24.com/detailsnews.php?sn24id=fec8d47d412bcbeece3d9128ae855a7a&sl=20110723982

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১১

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ডিজিটাল ক্যাম্পাসে আড্ডাই স্টাডির প্রেরণা

তামিম মজিদ
সিলেটনিউজ২৪.কম



দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন রকম আড্ডা। আড্ডা ক্যাম্পাসের একটি পরিচিত নাম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আছে, আর আড্ডা থাকবে না এটাতো কল্পনাই করা যায়না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আড্ডা ভিন্ন রকম। ডিজিটাল ক্যাম্পাসে আমাদের আড্ডা অন্যরকম।
 আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু থেকেই সেমিস্টার পদ্ধতি চালু থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চাপটা অনেকটা বেশী। তাই বেশীর ভাগ আড্ডার বিষয় হতে হয় পড়ালেখা কেন্দীক। তাই শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের আড্ডা  মানেই স্টাডি করা। আড্ডাই স্টাডির প্রেরণা। আড্ডাই ক্যাম্পাসের প্রাণ। এখানে ল্যাপটপ নিয়েই আড্ডা চলে বেশী। ক্যাম্পাসের সবর্ত্র ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ল্যাপটপ নিয়ে চলে গ্র“প ভিত্তিক আড্ডা ।
 আড্ডায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকমের বই,জার্নাল ফ্রি ডাইনলোড করে স্টাডি করে। আর ফাকেঁ কিছু সময় পেলেই ফেইসবুক এবং অনলাইন পত্রিকা পড়ে সময় কাটায়। ডিজিটাল ক্যাম্পাসের সকল আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও ক্যাম্পাসের সবর্ত্র  ফ্রি  ওয়াইফাই সুবিধা আছেতো আর তাই বই, জার্নাল ডাউনলোড ও ফেইসবুক ব্যবহার করবে না এটাতো হতেই পারে না। আর এই আড্ডার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক নতুন জ্ঞান লাভ করে। আবার আড্ডার মাধ্যমে অনেকের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠে। গড়ে উঠে বন্ধুত্বের বন্ধন।
বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও মুক্ত বুদ্ধি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শুধু শ্রেণীকক্ষ বা গবেষণা কেন্দ্রিক নয়। শ্রেণীকক্ষ বা গবেষণার বাইরেও রয়েছে শিক্ষা অর্জন ও মুক্তি বুদ্ধি চর্চার অনেক মাধ্যম। আড্ডার মাঝে একজন শিক্ষার্থী খুজেঁ পায় নতুন জ্ঞান। আর এই আড্ডাটা অবশ্যই হওয়া চাই সৃজনশীল,যার মধ্যে থাকবে শিক্ষামূলক,বিনোদনমূলক কিছু বিষয়বস্তু,যা শিক্ষার্থীদের মনের খোরাক যোগাবে। এর মধ্যে উঠে আসে কিভাবে স্টাডি করলে ভাল রেজাল্ট করা যায়। আর ভাল ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা ভাবনাতো আছেই।
এছাড়া আড্ডায় ব্যক্তিগত , পারিবারিক, দেশের রাজনীতি ও সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিষয় গুলো ফুটে উঠে। অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের আড্ডাবাজ দীপান্নিতা,বাধঁন,মাজহারুল,সাঈদা,পাপিয়া,বদরুল,কান্তা,মুস্তাফিজ ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের মিঠুন, ঔশী, তুলি, মাশকুরা, তান্নি ও জয়ন্ত বলেন,আড্ডা ছাড়া ক্যাম্পাসে ভালোই লাগে না। আড্ডার মধ্যে অনেক জ্ঞান লাভ করা যায়। গ্র“প ভিত্কি আড্ডা অনেক জটিল প্রশ্নের সমাধান করা যায়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলা ভূমি আধ্মাতিক নগরী সিলেটে অবস্থিত দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। ফটক দিয়ে  ঢুকলেই চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশে সারি সারি  মেহগণি,জারুল,কড়ই,নারকেলসহ শতাধিক প্রজাতির গাছের নয়াভিরাম দৃশ্য। রাস্তার দু’পাশে নজরকাড়া বৃক্ষ সুশোভিত সুদীর্ঘ লেকটি। লেকের অপূর্ব নীল জলরাশিতে নানা প্রজাতির মাছ যেকোন পথিককে বিমোহীত করে।
প্রধান ফটক থেকে প্রথমেই রাস্তা ডান পাশে রয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমিটারি এরপর গেস্ট হাউস আইস চ্যান্সেলর’স বাংলো। একটু সামনে বাম পাশে গেলেই ইউনভার্সিটি স্কুল। তার পর চোখে পড়বে  দৃষ্টি নন্দন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। সামনে গেলে গোল চত্বর,প্রশাসনিক ভবন, প্রেম চত্বর, সেন্টাল লাইব্রেরী ভবন, অর্জুন তলা ও সকল একাডেমিক ভবন। এ  বিল্ডিংয়ের পাশেই রয়েছে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য।

ক্যাম্পাসে আড্ডার স্পট, ক্যাম্পাসে মূলত আড্ডা বেশী হয়ে থাকে গোল চত্বর, প্রেম চত্বর, অর্জুন তলা, লাইব্রেরী ভবনের পাশ, ডি বিল্ডিং ও ই বিল্ডিং পেছনের দিক, শহীদ মিনার,ছাত্রী হলের পাশের টিলা ও সেন্টাল অডিটোরিয়াম। ক্যাম্পাসে এসব স্থানেই আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। গ্র“প ভিত্তিক ল্যাপটপ নিয়ে আড্ডা চলে লাইব্রেরী ভবনের সামনে,অর্জুন তলা, ডি বিল্ডিং ও এ বিল্ডিংয়ের পাশে। লাইবেরী ভবনের ডান পাশে সংস্কৃতি কর্মীরা বেশী আড্ডা দিয়ে থাকে। আর প্রেমীক যুগলরা প্রেম চত্বর, শহীদ মিনার, ছাত্রী হলের পাশের টিলা ও সেন্টাল অডিটোরিয়ামের পাশে আড্ডা দিতে বেশী পছন্দ করে।

শাবি ছাত্রদল চুপচাপ

লেখক: শাবি প্রতিনিধি  |  শুক্র, ২২ জুলাই ২০১১, ৭ শ্রাবণ ১৪১৮
অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে তাদের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে তাদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শাখা ছাত্রদল।
 ২০১০ সালে গঠিত আহবায়ক কমিটিতে কয়েকজন নিষ্ক্রিয় নেতাকে পদ দেয়ায় সৃষ্টি হয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এখন দু’ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ (এসএম ) জাহাঙ্গীর। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম আহবায়ক সুদীপ জ্যাতি এষ। ক্যাম্পাসের বাইরে আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ (এসএম ) জাহাঙ্গীর গ্রুপ কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করলেও অপর যুগ্ম আহবায়ক সুদীপ জ্যাতি এষ গ্রুপের কোন কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায় না।
বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। শীঘ্রই নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার দাবী জানিয়েছেন অধিকাংশ নেতাকর্মী। বিগত কমিটির ৩ জন যুগ্ম আহবায়কের  ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
তরুণ মেধাবী ছাত্রদল নেতা মাজহারুল হক সরকার বলেন, ছাত্রদলের নেতৃত্বে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। মেধাবীদের দিয়ে আগামী নতুন কমিটি গঠনের জন্য ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহবান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন না করার মূল কারণ প্রশাসনের অসহযোগিতা ও ছাত্রলীগের চাপ। আমরা সংগঠিত হচ্ছি। যেকোন সময়  আমরা ক্যাম্পাসে শো-ডাউন দিব।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/30072/2011-07-22/45


শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র


তামিম মজিদ,শাবি : নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে,ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি ,বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসের টিলার পাশ গুলোতে চুটিয়ে চুটিয়ে ঘুরে সময় কাটায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা,দীপান্নিতা,শান্তা,মাজহারুল,বদরুল,কৌশিক,কান্তা,তাসনিম,তাহমিনা,পাপিয়া,মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি,তান্নি,ঐশি,মঞ্জু,বাবলি,নুরুল, মঠুন,জয়ন্ত,মাশকুরা,আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে শাহপরাণ হল,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্টাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্ণারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই্। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই। কোন অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে। কার আগে কে বাসে উঠতে পারে,বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগীতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেবাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাটখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটেনা অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগ্যতা হেটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার স্বীকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস। ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। আবার অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে। পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শত শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার ভিলেজ পলিটিক্স করতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষাথীর্রা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদেরকে। তাই বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের সঙ্গী।তামিম মজিদ,শাবি : নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে,ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি ,বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসের টিলার পাশ গুলোতে চুটিয়ে চুটিয়ে ঘুরে সময় কাটায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা,দীপান্নিতা,শান্তা,মাজহারুল,বদরুল,কৌশিক,কান্তা,তাসনিম,তাহমিনা,পাপিয়া,মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি,তান্নি,ঐশি,মঞ্জু,বাবলি,নুরুল, মঠুন,জয়ন্ত,মাশকুরা,আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে শাহপরাণ হল,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্টাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্ণারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই্। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই। কোন অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে। কার আগে কে বাসে উঠতে পারে,বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগীতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেবাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাটখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটেনা অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগ্যতা হেটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার স্বীকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস। ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। আবার অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে। পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শত শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার ভিলেজ পলিটিক্স করতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষাথীর্রা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদেরকে। তাই বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
http://bangladeshbarta.com/2011/07/21/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87/

গ্রুপস্টাডির মাধ্যমে কঠিন বিষয়সহজ হয়

লেখক: তামিম মজিদ  |  বুধ, ২০ জুলাই ২০১১, ৫ শ্রাবণ ১৪১৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাঁকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে । বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে, ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি, বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শিক্ষার্থীদের।
অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা, দীপান্বিতা, শান্তা, মাজহারুল, বদরুল, কৌশিক, কান্তা, এমদাদ, তাহমিনা, পাপিয়া, মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি, তান্নি, ঐশি, বাবলি, নুরুল, মিঠুন, জয়ন্ত, মাশকুরা, আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আড্ডা ছাড়াতো ক্যাম্পাস জীবন অর্থহীন। আড্ডা মাধ্যমে সবার মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে নতুন সম্পর্ক।
আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে    শাহপরান হল, সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্নারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই।  অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে।  কার আগে কে বাসে উঠতে পারে, বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগিতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেভাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাঠখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটে না অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগত্য হেঁটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার শিকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস।  ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে।  পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শ শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার নানা বেগ পোহাতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীকে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষার্থীরা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহতে হয় তাদেরকে। বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘চেতনা ৭১’


তামিম মজিদ,শাবি ঃ সিলেটবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন সংগামের ফসল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধারণ করে রাখতে ভাস্কর্য নির্মাণ করার জন্য প্রগতিশীল ও মুক্ত চর্চায় বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু নানা বাধা বিপত্তির কারণে আর সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য থাকলেও ছিল না শুধু শাবিপ্রবিতে। তাই শিক্ষার্থীদের সে স্বপ্নকে পূরণ করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায় দেড় বছর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের  ১৪৯ তম সিন্ডিকেট সভায় ভাস্কর্য নির্মাণের ব্যাপারে অনুমোদন দেয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন আজও নির্মাণ করতে পারেনি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। আর তাই  প্রশাসনের  কাজের মন্থর গতি দেখে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই উদ্যোগ নেয় পকেট থেকে টাকা তুলে ভাস্কর্য নির্মাণ করার। তাদের সেই সিদ্ধান্তটি আজ বাস্তব হতে চলছে।
দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও ধৈর্য্যের সাথে এগুতে থাকে বাস্তব স্বপ্নটি। প্রশাসন কথা রাখেনি কিন্তু কী হবে শিক্ষার্থদের সেই প্রাণের দাবীকে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সেই অমোঘ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে  প্রথমে একাডেমিক ভবন এ- এর পাশে ‘চেতনা-৭১’ নামের একটি অস্থায়ী প্রতীকী ভাস্কর্য স্থাপন করে। শিক্ষার্থীদের সেই দাবীকে হারিয়ে যেতে দেয়নি ২০০৫/০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ কাজের জন্য (২০০৫-০৬) সেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি অর্থায়ন করেছে  প্রথম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকও অর্থায়ন করেছে। প্রায়  ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ বিল্ডিংয়ের উত্তর পার্শ্বে চেতনা ৭১ নামের ভাস্কর্যটি নির্মিত হচ্ছে।
আগামী ২৮ জুলাই ভাস্কর্যটির আনুষ্টানিক উদ্ভোধন করা হবে বলে জানা গেছে। নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি নৃপল খান। আর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছে তারই সংগঠন ‘নৃ’ এর স্কুল অব স্কাল্পচার। ভাস্কর্যটিতে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেলে ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং  ছাত্রীর হাতে বই,যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুতারোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবন গুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লেট ৩ টা বানানো হবে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটার ব্যাস হবে ১৫ ফুট,মাঝের প্লেটের ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং উপরের প্লেট হবে ১২ ফুট। প্রত্যেকটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উচু হবে। প্লেট ৩ টার উপরে মুল বেদিটি হবে ৪ ফুট উচু, তার উপরে ৮ ফুট উচু ফিগার। মুক্তবুদ্ধিচর্চায় উদ্ভুদ্ধ শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী এখন বাস্তব অঙ্কুরোদগমের দিকে। ভাস্কর্যটির শুভ উদ্ভোধন করার মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্ম  নিবে এক নব ইতিহাসের।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : সুষম খাবার উৎপাদন এবং চা শিল্পের উন্নয়নে এফইটি বিভাগ

তামিম মজিদ,শাবি
সিলেটনিউজ২৪.কম


কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবু এ দেশের অনেক মানুষ আজও সুষম খাদ্যের অভাবে পুষ্টিহীণতায় ভূগছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরনের লক্ষ্যেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
দেশের প্রথম এবং একমাত্র এ বিভাগটির মাধ্যমে খাদ্যের পুষ্টিমান নিয়ন্ত্রন ও সুষম খাবার উৎপাদন এবং চা শিল্পের উন্নয়নে এখানে জন্ম নিচ্ছে দক্ষ প্রকৌশলী ও গবেষক ।

 খাদ্য ও চা শিল্পের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীর কারখানা হচ্ছে এফটিটি বিভাগ।  সুষম খাদ্য নিয়ে যথাযথ গবেষণা ও পুষ্টিমানের নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনশক্তির অভাবই এ পুষ্টিহীণতার অন্যতম কারন। পুষ্টিহীণতায় ভোগা জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
গোড়ার কথা :দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ সিলেট। চায়ের মাতৃভূমি নামে যা সর্বাধিক পরিচিত। আবার চায়ের রাজধানীও বলা হয়ে থাকে সিলেটকে। যাই বলা হয়ে থাকে না কেন, চা উৎপাদন ও চা শিল্পের বিকাশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে প্রথম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ‘টি টেকনোলজি’ নামে এই বিভাগ যাত্রা শুরু করে।
২০০৪-০৫ সেশনে বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর যুগের চাহিদার সাথে কর্মক্ষেত্র প্রসার ও খাদ্য শিল্পে দক্ষ মানব সম্পদ যোগানের লক্ষ্যে ২০০৫-০৬ সেশনে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করে ‘ফুড এ্যান্ড টি টেকনোলজি’ বিভাগ নামধারণ করে।
অবশেষে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি’ বিভাগ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকৌশল বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। নতুন বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ইতোমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহের বিষয় হিসেবে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে।
কি পড়ানো হয়:বর্তমান প্রেিযাগীতামূলক বিশ্বে  নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেখানে মেডিক্যাল সায়েন্স, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং,কম্পিউটার সায়েন্স, ব্যবসায় শিক্ষা কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে, সেখানে এ ধারার বাইরে বর্তমান বিশ্বে চাহিদাসম্পন্ন বিষয় হিসেবে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি আলাদা একটি অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের স্বল্পসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীই এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ বিভাগে বর্তমানে ৬টি ব্যাচে মোট ১২৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এ বিভাগের ৩০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। খাদ্য ও চা শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষ প্রকৌশলী এবং গবেষক হিসেবে গড়ে তুলতে এ বিভাগের আওতায় পড়ানো হয় ফুড প্রিন্সিপ্যাল অফ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড প্রসেসিং এ্যান্ড প্রিজারভেশন, সেফটি এ্যান্ড সেনিটেশন অফ ফুড ইন্ডাস্ট্রি, ইউনিট অপারেশন অফ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইন ফুড এ্যান্ড টি ইন্ডাস্ট্রি, টি ফিজিওলজি, এ্যাগ্রো টেকনোলজি অফ টি, জেনেটিক্স এ্যান্ড টি ব্রিডিং, টি ম্যানুফেকচারিং এ্যান্ড প্যাকেজিং, এ্যানটোলজি এ্যান্ড প¬্যান্ট প্যাথোলজি অফ টিসহ মোট ১৬২ ক্রেডিটের নানা বিষয়।

ল্যাব ও  লাইব্রেরি সুবিধা : মানসম্পন্ন বিভাগ ও  ল্যাব সরঞ্জাম অত্যন্ত দামি হওয়ায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের ল্যাব ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টি রিসার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এ্যাটোমিক এনার্জি কমিশনের ল্যাবেও তারা গবেষণা  করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় দেশের প্রতিষ্ঠিত নানা ফুড ইন্ডাস্ট্রিতেও শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক প্রোজেক্ট ওয়ার্ক করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘ই’ তে বিভাগের ল্যাবের সম্প্রসারণ ও নতুন গবেষণা যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। খাদ্য এবং চা-য়ে মেক্সিমাম রেসিডিউ লিমিট পরিমাপের জন্য শিক্ষার্থীদের ‘গ্যাস লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি’ (জিএলসি) এবং হাই পারফরমেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি’ (এইচপিএলসি) মেশিন ব্যবহার শেখানো হয়। আর এর ফলে খাদ্য ও চা শিল্পের ভবিষ্যত প্রকৌশলীরা নিজেদের আরও দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারছেন। ল্যাব ব্যবহারের  পাশাপাশি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় লাইব্রেরী এবং বিভাগের নিজস্ব সেমিনার কক্ষে রয়েছে পর্যাপ্ত বই এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধের এক বিশাল সংগ্রহ।
কর্মক্ষেত্র : বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগটি নতুন সৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় এর কর্মক্ষেত্র রয়েছে। বিভিন্ন চা এস্টেট ও খাদ্য শিল্প এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মূল কর্মক্ষেত্র। প্রকৌশল ডিগ্রি থাকায় খাদ্য ও চা শিল্পে এফইটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এছাড়া চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবেও এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে।
শিক্ষার্থীদের কথা : সুনামগঞ্জের  ছেলে নাসিম। এখন তিনি পড়েন ২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারে। স্বপ্ন দেখেন মেধাসম্পন্ন স্বনির্ভর এক বাংলাদেশের। ভর্তি হোন শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগে। স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই এমন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে ভর্তি হোন তিনি। কথা হলো তার সাথে। "আমার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।
খাদ্য ও চা শিল্পের উন্নয়নে কিছুদিনের মধ্যেই সত্যিকারের একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করব" স্রেফ এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তিনি। ক্লাস-পরীক্ষা আর ল্যাব নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে এফইটি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী কাজী সুমাইয়ার। এরই ফাঁকে স্বপ্ন দেখেন বড় গবেষক হয়ে খাদ্য মানোন্নয়নে নানা গবেষণা করবেন তিনি। কাজ করবেন বিশ্বের স্বনামধন্য খাদ্য গবেষণাগার বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানে। স্বপ্ন দেখেন পরনির্ভরশীলতা ও পুষ্টিহীণতার হাত থেকে নিজ দেশকে রক্ষার। তাদের মত স্বপ্ন দেখেন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরাও।
বিভাগীয় প্রধানের কথা : ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান  ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, খাদ্য ও চা শিল্পের উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীতে শাবি’র ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগটি বিশেষ অবদান রাখছে। ইতোমধ্যে চায়ের গুনগত মানোন্নয়ন ও বিভিন্ন অপ্রচলিত খাদ্য এবং তার পুষ্টিমান নিয়ে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে সফলতা এসেছে। তাই এই বিভাগের উন্নয়নে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি জানান, এই বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা একজনও বসে নেই। সুষম খাবার উৎপাদন এবং চা শিল্পে এ বিভাগ থেকে পাশ করা প্রকৌশলীরা সুনামের সাথে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের সত্যিকার অর্থে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তর করতে বিভাগটির গবেষণাগারে আরও আধুনিক গবেষণা সরঞ্জাম সংযোজন এবং বিষয় ভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ বলে তিনিমন্তব্য করেন।