তামিম মজিদ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় :
বৃহত্তর সিলেটের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । প্রতিষ্টার ২১ বছর পরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ও তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে মৌলবাদীদের বাধাঁ উপেক্ষা করে চেতনা ৭১ নামের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসের এ বিল্ডিংয়ের উত্তর পার্শ্বে নির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হবে আগামী ৩০শে জুলাই। ভাস্কর্যের উদ্বোধন করবেন শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক সালেহ উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫/০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে ও প্রথম ব্যাচের (১৯৯০-৯১) শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তায় সিলেট বিভাগে এই প্রথম ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবিবার দুপুর ১২টায় শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চেতনা ৭১ ভাস্কর্য কমিটির সদস্য সচিব ও শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী খুরশীদ আলম হিতু। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাস্কর্য কমিটির সদস্য সাজ্জাদ শাহ ফয়সাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহবায়ক ফেরŠস হাসান । নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি মোবারক হোসেন নৃপল । আর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছে তারই সংগঠন ‘নৃ’ এর স্কুল অব স্কালচার।
ভাস্কর্যটিতে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেলে ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং ছাত্রীর হাতে বই,যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুতারোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবন গুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লেট ৩ টা বানানো হবে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটার ব্যাস হবে ১৫ ফুট,মাঝের প্লেটের ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং উপরের প্লেট হবে ১২ ফুট। প্রত্যেকটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উচু হবে। প্লেট ৩ টার উপরে মুল বেদিটি হবে ৪ ফুট উচু, তার উপরে ৮ ফুট উচু ফিগার। ক্যাম্পাসে ভাস্কর্য নিমর্অণের মধ্য দিয়ে প্রগতিশীল ও মুক্ত চর্চায় বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল পূরণ হবে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন