শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১১

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র


তামিম মজিদ,শাবি : নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে,ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি ,বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসের টিলার পাশ গুলোতে চুটিয়ে চুটিয়ে ঘুরে সময় কাটায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা,দীপান্নিতা,শান্তা,মাজহারুল,বদরুল,কৌশিক,কান্তা,তাসনিম,তাহমিনা,পাপিয়া,মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি,তান্নি,ঐশি,মঞ্জু,বাবলি,নুরুল, মঠুন,জয়ন্ত,মাশকুরা,আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে শাহপরাণ হল,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্টাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্ণারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই্। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই। কোন অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে। কার আগে কে বাসে উঠতে পারে,বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগীতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেবাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাটখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটেনা অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগ্যতা হেটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার স্বীকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস। ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। আবার অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে। পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শত শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার ভিলেজ পলিটিক্স করতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষাথীর্রা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদেরকে। তাই বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের সঙ্গী।তামিম মজিদ,শাবি : নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে,ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি ,বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসের টিলার পাশ গুলোতে চুটিয়ে চুটিয়ে ঘুরে সময় কাটায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা,দীপান্নিতা,শান্তা,মাজহারুল,বদরুল,কৌশিক,কান্তা,তাসনিম,তাহমিনা,পাপিয়া,মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি,তান্নি,ঐশি,মঞ্জু,বাবলি,নুরুল, মঠুন,জয়ন্ত,মাশকুরা,আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে শাহপরাণ হল,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্টাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্ণারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই্। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই। কোন অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে। কার আগে কে বাসে উঠতে পারে,বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগীতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেবাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাটখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটেনা অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগ্যতা হেটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার স্বীকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস। ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। আবার অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে। পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শত শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার ভিলেজ পলিটিক্স করতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষাথীর্রা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদেরকে। তাই বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
http://bangladeshbarta.com/2011/07/21/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন