মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১১

বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনী নতুন প্রজন্মের ভাবনা

রবি, ৩১ জুলাই ২০১১, ১৬ শ্রাবণ ১৪১৮
স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা ও টিকে থাকার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে
আসিফ শাহরিয়ার
৪র্থ বর্ষ, ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অবশ্যই ইতিবাচক দিক রয়েছে। এই সংশোধনিতে সকল ধর্মের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়  ফেরার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন সম্ভব হবে। সকল ধর্মের সমঅধিকারের  অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে। আর অনির্বাচিত তত্ত্বাধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা ও টিকে থাকার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে।  অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের বিচারের আইন করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করলে বিরোধীদলকে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল মানতে হবে। আর যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে  রাজনীতি করে তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার আইন করে ব্যবস্থা নিবে এটি দেশের মানুষ চায়। সর্বোপরি, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত ও স্বৈরাশাসক মুক্ত এবং আধুনকি ডিজিটাল ও উন্নত  দেশ গঠনে পঞ্চদশ সংশোধনী ভূমিকা রাখবে। এই যুগোপযোগী পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তার স্বপ্নীল লক্ষ্যে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরো সুদৃঢ় হল। দেশের মানুষের প্রয়োজনে সরকার  সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি এ জন্য সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য শাবিপ্রবির মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এই সংশোধনীর পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে
দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন
জে আরা সিনথিয়া
৪র্থ বর্ষ, ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

সংবিধান সংশোধনীর সুফল সাধারণ জনগণের নেই বললেই চলে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসে তাদের নিজেদের ফায়দা হাসিলের সংবিধান সংশোধনী করে। ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরার জন্য নিজেদের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করে। যেমন ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার জননিরাপত্তা নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছিল। এটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিরোধীদল দমনে ব্যবহার করার জন্য মূলত করা হয়েছিল।  তেমনিভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর র্যাব গঠন করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল আইন -শৃঙ্খলা ও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদান করা । কিন্তু র্যাব ও বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের দমনে সরকারের নির্দেশে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহাজোট সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে  পঞ্চদশ সংশোধনী নিশ্চিত দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে নিয়ে যাবে। আরেকটি বিষয়, সংবিধানে বিসমিল্লাহ আছে অথচ আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নেই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে। এটা কোন্ ধরনের আদর্শ। এই নীতি কোন আদর্শই সমর্থন করে না। চতুর্থ সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়া করে পাস হয়েছিল, এর ফল যে কত ভয়াবহ হয়েছিল ঠিক তেমনি পঞ্চদশ সংশোধনী তাড়াহুড়া করে একতরফাভাবে পাস হয়েছে। এই সংশোধনীর পরিণাম বা ফলাফলও খুবই ভয়াবহ হবে বলে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সংবিধান বিষেজ্ঞরা মত দিয়েছেন।

সংবিধান সংশোধন হোক মহান
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনায়
মো. জিয়াউল হক চৌধুরী (বাবু)
এল,এল,এম (লাস্ট সেমিস্টার)
উত্তরা ক্যাম্পাস
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হলেও কিছু কিছু বিষয় একেবারে অগ্রহণযোগ্য। ধর্ম নিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার মধ্যে একটি বিরাট গোজামিল লক্ষ্য করা যায়। যদিও সংশোধনিতে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অনুচ্ছেদ ২/ক ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে  বজায় রাখা এবং অনুচ্ছেদ-১২ ‘রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা’ যা চরমভাবে স্ববিরোধী। সংবিধানে কোন ধর্মীয় ইজম থাকলে তা কখনো গণতান্ত্রিক নাগরিক রাষ্ট্রের সংবিধান হতে পারে না। ফলে সৃষ্টি হবে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল, তারা কি এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বিধান সংবিধানে রাখতে পারে?
সংবিধান হওয়া উচিত রাষ্ট্রের সকল নাগরিকদের জন্য পালনীয়। রাষ্ট্রে সকল ধর্মের-বর্ণের মানুষের বসবাস। সুতরাং সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত যে কোন ধর্মীয় ইজমের ঊর্ধ্বে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সকল ধর্মের, অধিবাসীরা সমঅধিকারে বসবাস করবে- এটাই ধর্মনিরপেক্ষতা। এ থেকে সরবার কোন পথ নাই। অন্তত বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য উচিত নয়। পঞ্চদশ সংশোধনিতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং অবৈধ, অগণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ ও কেউ আসলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা একটি উল্লেখযোগ্য সংশোধন। ইহাতে রুদ্ধ হবে সামরিক সরকারের ক্ষমতায় আসা।
এছাড়াও  এ পঞ্চদশ সংশোধনীর আরো একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে বিচার বিভাগকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা। এই পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীতে আদীবাসিদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দেশে দুর্নীতি রোধকল্পে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সাংবিধানিকভাবে পরিপূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করা উচিত যাতে প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার। সর্বোপরি বলতে চাই, সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনার ভিত্তিতে। প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে গিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল না করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মৌলিক অধিকার হরণ করে জ্বালাও-পোড়াও হরতাল-অবরোধ পালনে বাধ্য না করে বিরোধীদলের উচিত এই সংশোধনীর কোন কোন বিধানে আপত্তি এবং তার পক্ষে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং জনমত গড়ে তোলা। অনুরূপভাবে সরকারি দলের উচিত সংশোধনীর পক্ষে ভালো দিকগুলো যুক্তিযুক্তভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা।

এই সংশোধনী বাতিল করে নতুনভাবে দেশের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা হউক
মো. জাবের আল-ওসমানী
১ম বর্ষ, ২য়  সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সমপ্রতি পঞ্চদশ সংশোধনী বিল সংসদে পাস করা হয়েছে। কিন্তু আসলেই কি আমরা এই সংশোধনিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আসতে পেরেছি? আমরা আজীবন শুনছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি? বিষয়টি তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত। আর আওয়ামী লীগ যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে থাকে তাহলে জনগণের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে সংবিধান সংশোধন করত। কিন্তু তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রমাণ করল, তারা আসলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের জন্য পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেনি, করেছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন করার জন্য। নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত  করার জন্য।  গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর যখন তখন সংবিধান সংশোধনী সংস্কৃতিকে ফিরে আসতে হবে।  আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের মূল  চেতনা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। সংবিধান একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন বা বিধান।  কিন্তু প্রত্যেক সরকার দেশের সংবিধানকে জনগণের কল্যাণের কথা বলে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে কি ধর্মনিরপেক্ষতা? আল্লাহকে অবিশ্বাস করা? মুসলমানদের খুশি করার জন্য বিসমিল্লাহ বহাল রাখা? যেখানে আল্লাহকে বিশ্বাস করা হয় না এখানে বিসমিল্লাহ রাখার কোন প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ বলে , ধর্ম নিয়ে রাজনীতি তারা করে না কিন্তু তারা মুসলমানদের খুশি করার জন্য বিসমিল্লাহ বহাল রেখে প্রমাণ করল তারাও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। আর সকল ধর্ম যদি সমান হয় তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল কেন? এটিও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি।  আমরা সাধারণ নাগরিক চাই , কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা দলের জন্য যেন দেশের সংবিধান সংশোধন করা না হয়। সংবিধান সংশোধন করতে হবে  দেশের ১৫ কোটি মানুষের কল্যাণের জন্য।  আর আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যদি নাই রাখতে হয়, তাহলে রাজনীতিবিদদের বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে না। পঞ্চদশ সংশোধনীর ভাল দিক থাকলেও অধিকাংশ দিকই নেতিবাচক।  সর্বোপরি বলতে চাই, পঞ্চদশ সংশোধনী দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে না। দেশকে রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিবে। আমরা চাই সরকার , বিরোধীদল ও দেশের বিশিষ্টজনের মতামত নিয়ে এই সংশোধনী বাতিল করে নতুনভাবে দেশের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা হউক।

সাধারণ মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে
সচেতন করা উচিত
ফারহানা নার্গিস
এলএলবি (অর্নাস) ৮ম সেমিস্টার
উত্তরা ক্যাম্পাস
অতীশ দিপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সংবিধান সংশোধন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক পন্থা। সব সরকারই ক্ষমতা আটকে রাখার জন্য এ পন্থা অবলম্বন করে থাকে। সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। মূলত এটাতে জনগণের বা রাষ্ট্রের কোন কল্যাণ হোক বা না হোক রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু সুবিধা হয়ে থাকে। আমাদের রাষ্ট্রের শিক্ষার মান যেহেতু অনুন্নত সেখানে সংবিধান সংশোধন বা তার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে জনগণ মাথা ঘামায় না। আর তারা বুঝতেও পারে না। যদিও বলা হয়ে থাকে জনগণের স্বার্থে করা হচ্ছে। আমাদের সমাজে যারা উচ্চশিক্ষিত তাদের মাঝেও শতকরা ৭০% মানুষ বলতেই পারে না যে আমাদের সংবিধানে কি আছে আর কি পরিবর্তন হচ্ছে।
আজ যে দল ক্ষমতায় আছে কাল হয়তো তারা বিপক্ষে থাকবে আর তখন তারাও তাই করবে আজ যা বিরোধী দল করছে। এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ মানুষ কিসের ওপর নির্ভর করে বলবো যে যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে অথবা ঠিক হচ্ছে না। যেখানে দেশের জ্ঞানী-গুণী ক্ষমতাধর নেতারা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন না কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক নয় সেখানে আমাদের মত সাধারণ মানুষ যারা জীবনের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছি, তারা কিভাবে নির্ধারণ করবে সংবিধান সংশোধনী ঠিক নাকি ঠিক না।
একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি সংবিধান সংশোধনী নিয়ে দু’চার লাইন লিখে কিছু হবে না কারণ বিষয়টা এত ছোট কিছু না। সংবিধান সংশোধনীর বিশালতা ব্যাপক কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ সেখানে সংবিধান কি আর প্রয়োজনীয়তা বা কি সেটাই সঠিকভাবে বুঝি না, সেখানে সংশোধনী নিয়ে কি বা বলার থাকে। তবে সাধারণ নাগরিক হিসাবে মনে করি সংবিধান সংশোধনীতে অবশ্যই উভয়দলের সহযোগিতার প্রয়োজন। প্রয়োজন জনগণের মতামতের এবং জনগণের কল্যাণের সেসব দিকগুলো আগে সংশোধন করা যা একটা মানুষকে মানুষ হিসাবে রাষ্ট্রে টিকে থাকতে দেয়। রাজনৈতিক ক্ষমতায় টিকে থাকা না থাকার সংশোধনী সংবিধানের মূল বিষয় না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
অনুলিখন: তামিম মজিদ
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/32136/2011-07-31/19

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন