সোম, ২২ অগাষ্টu-এ ২০১১, ৭ ভাদ্র ১৪১৮
অনুলিখন : তামিম মজিদ, আফরিন জামান মমিতা
দুর্নীতি দমন কীভাবে সম্ভব নতুন প্রজন্মের ভাবনা
দুর্নীতি দমন কীভাবে সম্ভব নতুন প্রজন্মের ভাবনা
সোম, ২২ অগাষ্টu-এ ২০১১, ৭ ভাদ্র ১৪১৮
পারিবারিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষার স্তর পর্যন্ত নৈতিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে
মো. হারুন মিয়া
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
দুর্নীতির করাল গ্রাসে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ ক্রমশ হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত ও অনুজ্জ্বল। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি, সংস্কৃতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চলছে চরম দুর্নীতি। দুর্নীতি সমাজের প্রচলিত নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থি বিশেষ ধরনের অপরাধমূলক আচরণ। সাধারণত ঘুষ, বল প্রয়োগ, ভয় প্রদর্শন, প্রভাব ও ব্যক্তি বিশেষকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে, গণপ্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের দ্বারা ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনকে দুর্নীতি বলা হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে দুর্নীতি হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, এই দেশে ঐতিহাসিকভাবে দুর্নীতি চলে আসছে। আর্থিক অসচ্ছলতা, উচ্চাভিলাষী জীবনের মোহ, বেকারত্ব, অর্থের মানদণ্ডে প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মর্যাদার অধিকারী। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, অপর্যাপ্ত বেতন ও পারিশ্রমিক প্রদান, আইনের সঠিক ব্যবহারের অভাব, দুর্নীতি দমনে সদিচ্ছার অভাব, নৈতিক অবক্ষয়, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধের অভাব। বর্তমানে দেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ জীবনযাত্রার সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির এক মহাবিপর্যয়ের পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে সবাই মুক্ত হতে চায়। দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের করণীয় সত্, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করা দরকার। দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন যেমন ‘ ’ কর্মসূচি। ন্যায়পালের পদ বাস্তবায়ন করা, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, সরকারি নিরীক্ষা কমিটি গঠন, রাজনৈতিক নেতাদের সত্ ও আইনগত নির্দেশনা প্রদান করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যহীনতার জবাবদিহিতার ব্যবস্থাকরণ, দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটকরণ, পর্যাপ্ত বেতন ও পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে। দুর্নীতি দমনে আদর্শ ও সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো মানুষের মাঝে সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করা। কারণ নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ কখনো দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারে না। পারিবারিক পর্যায় থেকে উচ্চ শিক্ষার স্তর পর্যন্ত নৈতিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই সত্, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে ওঠবে। তখন দুর্নীতি নামক এই সর্বনাশা ও সর্বগ্রাসী সামাজিক ব্যাধির মূলোত্পাটন সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের শ্লোগান হওয়া উচিত ‘ ব্যক্তি পরিবর্তনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের দুর্নীতি প্রতিরোধ করা’ ।
ছোটবেলা থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছেলে-মেয়েকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে
মোছা. হাছনা বেগম
১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
দুর্নীতির ভারাক্রান্তে আমাদের সমাজ আজ ভারাক্রান্ত। রাষ্র্বে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি গ্রাস করেনি। অনিয়ম আর দুর্নীতিতে সমাজের সবর্ত্র ছেয়ে গেছে। দুর্নীতিতে আজ আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন । পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ, সচিবালয় ও মন্ত্রণালয়সহ প্রত্যেক সেক্টর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি আমাদের সমাজ থেকে সহজে দূর হবে না। এজন্য সুদূরপ্রসারী কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার মূল কারণ আমরা নৈতিকতা থেকে দূরে সরে এসেছি। নতুন প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে নিম্নোক্ত পলিসি নেয়া যেতে পারে। যেমন, এইচএসসি পর্যন্ত শিক্ষার সকল শাখায় দুর্নীতিবিরোধী পাঠ বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। ছোটবেলা থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছেলে-মেয়েকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসনই পারে আমাদের সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে। ধর্মীয় আইন মেনে চললে দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। ইসলাম ধর্মে দুর্নীতিসহ অবৈধ সকল কাজ হারাম। আল্লাহ প্রদত্ত এই আইন পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করলে বাংলাদেশে দুর্নীতি থাকবে না। এরকম অন্যান্য ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী অন্য সকল ধর্মাবলম্বী মানুষ চললে দুর্নীতি হ্রাস করা সম্ভব।
অপরদিকে প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে কয়েকটা পলিসি নেয়া যেতে পারে। যেমন, পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশন, শিক্ষা বোর্ড, সকল মন্ত্রণালয় ও সর্বোপরি সরকারি আমলাদের কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও আনুষঙ্গিক সকল সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে। দুর্নীতিবিরোধী সভা-সেমিনার করা যেতে পারে। এছাড়া দুর্নীতি রুখতে জনগণকেও সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি অন্যায় কাজ এটা জনগণকে বুঝাতে হবে। সর্বোপরি সরকার, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বাংলাদেশে দুর্নীতি হ্রাস করা যেতে পারে।
অসাধু কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে সত্, যোগ্য
এবং মেধাবী লোকদের নিয়োগ দিতে হবে
কাজী জোবায়দা
অনার্স ৩য় বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ
বেগম বদরুনেসা সরকারি মহিলা, কলেজ, ঢাকা।
দুর্নীতি দমন করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের যে কাজটি করতে হবে তা হলো, কোনভাবেই দুর্নীতিবাজদের সাথে আপস করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং তারা যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে না বেরিয়ে যায় সে জন্য আইন ব্যবস্থাকে আরো কঠোর করতে হবে। অসাধু কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে সেই ক্ষেত্রে সত্, যোগ্য এবং মেধাবী লোকদের নিয়োগ দিতে হবে। তাছাড়া দেশের উন্নয়নের কার্যাবলীতে রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক নেতারাও যদি দুর্নীতি করে তাহলে তাদেরও সঠিক বিচার কতে হবে। এবং জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হলো দুর্নীতি দূর করতে হলে রাজনৈতিক কালো হাতের ক্ষমতা বন্ধ করতে হবে, জনগণকে সোচ্চার হতে হবে, দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে নতুন করে কেউ দুর্নীতি করতে ভয় পায়। তাছাড়া দুর্নীতির বিষয়ে কঠিন মনোভাব পোষণ করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করতে হবে।
দুর্নীতিকে জনগণ যেন ধিক্কার জানায়
এমন জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে
সোহরাব ভুঁইয়া
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দুর্নীতি উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ উন্নত হতে পারছে না। দুর্নীতিবাজরা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের মন্ত্রীরাই রাষ্র্বীয় টাকা লুটপাট করে খায়। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। আমাদের প্রত্যেকটা সেক্টরে দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে আজ আমরা বিপর্যস্ত ও অনুন্নত জাতি । এই অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে হবে। প্রথমেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। তারপর অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি কমাতে হবে। উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করতে হবে। কিন্তু আমাদের দুদকের কার্যক্রম সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্নীতি দমনের জন্য আইন প্রণয়ন করা দরকার। যাতে কেউ দুর্নীতি করলে তার শাস্তির বিধান করতে হবে। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে নির্দিষ্ট মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া যেতে পারে। তাহলে ভয়ে কেউ দুর্নীতি করবে না। এছাড়া ছেলে-মেয়েকে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা দিতে হবে। তাদের মাঝে ঘৃণা জন্মাতে হবে। আমাদের প্রচলিত আইনকে কার্যকরী করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতিকে জনগণ যেন ধিক্কার জানায় জনগণের মাঝে এমন জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। নৈতিক শিক্ষা ছাড়া দুর্নীতি কমে আসবে না। দুর্নীতি কমে আসলে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
লোভ-লালসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে
সায়মা কাউসার লোপা
অনার্স ৪র্থ বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ
বেগম বদরুনেসা সরকারি মহিলা, কলেজ, ঢাকা।
দুর্নীতি দমন করতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন আমাদের সত্ ইচ্ছা। তবে তার পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি একটু সচেতন হই তবে খুব সহজেই দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে পারি। কেননা একজন সচেতন নাগরিকই পারে একটি জাতিকে সচেতন করতে। তাছাড়া দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে, জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা থাকবে, সংবিধানকে সম্মান করে সেই অনুসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া জীবনযাত্রার মান অনুসারে সুষম বেতন কাঠামো ও পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে। এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও সবচেয়ে বড় কথা হলো নিজের কাছে নিজেকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। কেবল নিজের স্বার্থে নয়, অন্যের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। এবং লোভ-লালসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচার করতে হবে
মৌসুমী জামান
অনার্স ২য় বর্ষ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ)
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা।
বর্তমানে দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ ধারণ করেছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দুর্নীতি জড়িয়ে আছে। যা আমাদেরকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি লাগামহীন ঘোড়ার মত ছুটেই চলেছে। তাই আর বসে থাকলে চলবে না। শক্ত হাতে ধরতে হবে এই লাগাম। বন্ধ করতে হবে দুর্নীতির সকল ক্ষেত্র। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচার করতে হবে। এবং মেধা অনুসারে যোগ্য, সুশিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। আইনের প্রয়োগ কঠিন হতে হবে। স্বজনপ্রীতি দূর করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, বরং সমাজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দেওয়ার সুব্যবস্থা রাখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন