লেখক: তামিম মজিদ | বুধ, ৩ অগাষ্টu-এ ২০১১, ১৯ শ্রাবণ ১৪১৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরের দরিদ্র পরিবারের ছেলে লতিফ। পাঁচ বছর বয়সেই বাবাকে হারান। বাধ্য হয়েই মা পরিবারের হাল ধরেন। বাবা যেহেতু বেঁচে নেই, তাই পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েন লেগেই থাকত। অনেক দুঃখকষ্টে বড় হন। গ্রামের স্কুলে প্রাইমারি পাস করেন। প্রাইমারি পাস করার পর ছেলেকে মানুষ করার জন্য কোন কাজে না লাগিয়ে লতিফের মা তাকে হাইস্কুলে ভর্তি করেন। পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকায় হাইস্কুল লাইফ থেকে টিউশনি শুরু করেন। সামান্য যে টাকা পেতেন পড়াশুনার খরচের পাশাপাশি মাকে কিছু হলেও দিয়ে সাহায্য করতেন।
মায়ের অনুপ্রেরণায় অভাব-অনটনের মাঝেও লেখাপড়া চালিয়ে যান। লতিফ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। বিসিএস ক্যাডার করেন। প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন ছোট বেলা থেকেই। ২০০১ সালে এসএসসি সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। এইচএসিতে ভর্তি হন স্থানীয় কলেজে। এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মেধাবী ছাত্র থাকায় তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চেষ্টা চালিয়ে যান সেই স্বপ্ন পূরণ করার। আর তাই লতিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হন।
২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন পরিসংখ্যান বিভাগে। মেধাবী ছাত্র ও ছোট বেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখতেন বলেই সীমাহীন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কৃতিত্বের সাথে অনার্স সম্পন্ন করে মাস্টার্সে ভর্তি হন একই বিভাগে। কিন্তু দুরারোগ্য ক্যান্সার (এডিনোকারসিনোমা) লতিফের সব স্বপ্ন হারিয়ে যেতে বসেছে। অর্থের অভাবে তার জীবন ্রদীপ এখন নিভু নিভু। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী টাকার অভাবে তার জীবন হার মেনে যেতে বসেছে। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের কাছে তার লালিত স্বপ্নে এখন কালো মেঘের ছায়া।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবিকার জন্য এই দায়বদ্ধতার টানে লতিফের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নাট্য সংগঠন থিয়েটার সাস্ট। লতিফের জীবন বাঁচানোর জন্য আয়োজন করেছে নাটক ‘ভাবমূর্তি’। নাটকের টিকেটের সমুদয় অর্থ তার চিকিত্সার্থে পরিবারের কাছে দেয়া হয়। গত ২৭ জুলাই শাবিপ্রবির মিনি অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় জীবন বাঁচানোর নাটক ‘ভাবমূর্তি’ প্রদর্শন করা হয়। লতিফের টানে উক্ত প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। উন্নত চিকিত্সার জন্য লতিফ এখন কলকাতা মহাত্মা গান্ধী ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিত্সাধীন আছেন। তার চিকিত্সার জন্য ১০/১২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে তার মা ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন। এই মেধাবী ছাত্রকে বাঁচাতে মানবিক বিবেকে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত প্রসারিত করুন। লতিফের মা তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তশালী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। আপনার সাহায্যেই বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনাদের আর্থিক সহায়তাই মেধাবী লতিফের জীবন ফিরে পেতে পারেন। লতিফকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ হিসাব নং ১১৮-১০১-১৭৮০৭৩, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। মোবা: ০১৭১৭১৮৯৫১৫/ ০১৫৫৩৫৫৩৩৭০।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/32741/2011-08-03/21
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরের দরিদ্র পরিবারের ছেলে লতিফ। পাঁচ বছর বয়সেই বাবাকে হারান। বাধ্য হয়েই মা পরিবারের হাল ধরেন। বাবা যেহেতু বেঁচে নেই, তাই পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েন লেগেই থাকত। অনেক দুঃখকষ্টে বড় হন। গ্রামের স্কুলে প্রাইমারি পাস করেন। প্রাইমারি পাস করার পর ছেলেকে মানুষ করার জন্য কোন কাজে না লাগিয়ে লতিফের মা তাকে হাইস্কুলে ভর্তি করেন। পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকায় হাইস্কুল লাইফ থেকে টিউশনি শুরু করেন। সামান্য যে টাকা পেতেন পড়াশুনার খরচের পাশাপাশি মাকে কিছু হলেও দিয়ে সাহায্য করতেন।
মায়ের অনুপ্রেরণায় অভাব-অনটনের মাঝেও লেখাপড়া চালিয়ে যান। লতিফ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। বিসিএস ক্যাডার করেন। প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন ছোট বেলা থেকেই। ২০০১ সালে এসএসসি সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। এইচএসিতে ভর্তি হন স্থানীয় কলেজে। এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মেধাবী ছাত্র থাকায় তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চেষ্টা চালিয়ে যান সেই স্বপ্ন পূরণ করার। আর তাই লতিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হন।
২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন পরিসংখ্যান বিভাগে। মেধাবী ছাত্র ও ছোট বেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখতেন বলেই সীমাহীন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কৃতিত্বের সাথে অনার্স সম্পন্ন করে মাস্টার্সে ভর্তি হন একই বিভাগে। কিন্তু দুরারোগ্য ক্যান্সার (এডিনোকারসিনোমা) লতিফের সব স্বপ্ন হারিয়ে যেতে বসেছে। অর্থের অভাবে তার জীবন ্রদীপ এখন নিভু নিভু। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী টাকার অভাবে তার জীবন হার মেনে যেতে বসেছে। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের কাছে তার লালিত স্বপ্নে এখন কালো মেঘের ছায়া।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবিকার জন্য এই দায়বদ্ধতার টানে লতিফের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নাট্য সংগঠন থিয়েটার সাস্ট। লতিফের জীবন বাঁচানোর জন্য আয়োজন করেছে নাটক ‘ভাবমূর্তি’। নাটকের টিকেটের সমুদয় অর্থ তার চিকিত্সার্থে পরিবারের কাছে দেয়া হয়। গত ২৭ জুলাই শাবিপ্রবির মিনি অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় জীবন বাঁচানোর নাটক ‘ভাবমূর্তি’ প্রদর্শন করা হয়। লতিফের টানে উক্ত প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। উন্নত চিকিত্সার জন্য লতিফ এখন কলকাতা মহাত্মা গান্ধী ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিত্সাধীন আছেন। তার চিকিত্সার জন্য ১০/১২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে তার মা ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন। এই মেধাবী ছাত্রকে বাঁচাতে মানবিক বিবেকে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত প্রসারিত করুন। লতিফের মা তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তশালী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। আপনার সাহায্যেই বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনাদের আর্থিক সহায়তাই মেধাবী লতিফের জীবন ফিরে পেতে পারেন। লতিফকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ হিসাব নং ১১৮-১০১-১৭৮০৭৩, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। মোবা: ০১৭১৭১৮৯৫১৫/ ০১৫৫৩৫৫৩৩৭০।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/32741/2011-08-03/21
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন