মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং


লেখক: তামিম মজিদ  |  মঙ্গল, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১, ২৯ ভাদ্র ১৪১৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, উত্তোলন ও বণ্টনের জন্য দেশীয় প্রকৌশলী তৈরী করার লক্ষ্যে দেশে প্রথম সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে স্কুল অব এপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির অধীনে পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং (খনিজ) ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। 
ভর্তির যোগ্যতা: বিজ্ঞান শাখা থেকে ২০১০ ও ২০১১ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার জিপিএ যদি এসএসসি ও এইচএসসি উভয় মিলে ৭  পয়েন্ট থাকে তাহলে আপনি ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। ওয়েবসাইট www.sust.edu লগইন করলে ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন। পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আসনসংখ্যা ৩০টি। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৭০ নাম্বারের পরীক্ষা নেয়া হয়।  বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধা তালিকা  অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়।
কি পড়ানো হয়: বহির্বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং (খনিজ) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। বিভাগের আওতায় পড়ানো হয় ইনট্রোডাকশন পেট্রোলিয়াম, আর্থ সিস্টেম সায়েন্স, কেমিস্টি  ফর পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলজি এন্ড মিনারেলজি, ফ্লুইড ম্যাকানিক্স্র, সেডিমেন্টারি রক্স এন্ড স্ট্যাটিগ্রাপি, ফ্লুইড পপারটিজ, জিও ম্যাকানিক্স্র জিটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনহান্সর্ড ওয়েল রিকভারি, কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, হাজারড্স এন্ড রিকর্স ইন পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যাচারেল গ্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিক্স্র এন্ড ম্যানেজমেন্ট, ওয়েল টেস্ট এ্যনালাইছিছ, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রিজারভার সিমুলেশন, ওয়েল এন্ড গ্যাস প্রোপারটি ইভুলেশন, মাইন এগজামিনেশন এন্ড ইভুলেশনসহ মোট ১৬৫ ক্রেডিটের নানা বিষয়।
ল্যাব সুবিধা: মানসম্পন্ন বিভাগ ও  ল্যাব সরঞ্জাম অত্যন্ত দামি হওয়ায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের ল্যাব ব্যবহার করে থাকেন। বিভাগে রিজারভার সিমুলেশন ও বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড, কয়লা খনি ও  খনিজ তেলসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ল্যাবে ব্যবহারিক কাজ করে থাকেন।
কর্মক্ষেত্র: চাকরির বাজারে পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাসকৃত শিক্ষার্থীদের বেশ কদর রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র  পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি নতুন সৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় এর কর্মক্ষেত্র রয়েছে। বাপেক্সের অধীনস্থ সকল কোম্পানি, পেট্রোবাংলা, শেভরন, এটোমিক এ্যনারজি কমিশন, গ্যাস ক্ষেত্র, কয়লা ক্ষেত্র, খনিজ তেল ক্ষেত্র ও কঠিন শিলাসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। এছাড়া এ বিভাগ থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের বিদেশে সহজে স্কলারশীপ সুবিধা পাওয়া যায়।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/40258/2011-09-13/21

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১১

শাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ২৯ অক্টোবর

লেখক: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  |  শুক্র, ২৬ অগাষ্টu-এ ২০১১, ১১ ভাদ্র ১৪১৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০১১-২০১২) শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলী কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মোবাইলে ভর্তি ফরম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত  চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা জানান ভর্তি কমিটির সচিব ড. মুস্তাবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: সালেহ উদ্দিন, ভর্তি কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর ২৫টি বিভাগে ১৩৯৩টি আসনের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৫৯০টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ৭৪০টি আসন রয়েছে। উল্লেখিত আসন ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আদিবাসী এবং প্রতিবন্ধীর জন্য ৬৩টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
‘এ’ ইউনিটভুক্ত সকল বিভাগ এবং ‘বি’ ইউনিটভুক্ত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধি করে ৫৫০ টাকা করা হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটভুক্ত সকল বিভাগের (আর্কিটেকচারসহ) পরীক্ষা ফি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/38338/2011-08-26/10

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১১

দুর্নীতি দমন কীভাবে সম্ভব নতুন প্রজন্মের ভাবনা

সোম, ২২ অগাষ্টu-এ ২০১১, ৭ ভাদ্র ১৪১৮
অনুলিখন : তামিম মজিদ, আফরিন জামান মমিতা
দুর্নীতি দমন কীভাবে সম্ভব নতুন প্রজন্মের ভাবনা

দুর্নীতি দমন কীভাবে সম্ভব নতুন প্রজন্মের ভাবনা

সোম, ২২ অগাষ্টu-এ ২০১১, ৭ ভাদ্র ১৪১৮

পারিবারিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষার স্তর পর্যন্ত নৈতিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে
মো.  হারুন মিয়া
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
দুর্নীতির করাল গ্রাসে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ ক্রমশ হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত ও অনুজ্জ্বল। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি, সংস্কৃতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চলছে চরম দুর্নীতি। দুর্নীতি সমাজের প্রচলিত নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থি বিশেষ ধরনের অপরাধমূলক আচরণ। সাধারণত ঘুষ, বল প্রয়োগ, ভয় প্রদর্শন, প্রভাব ও ব্যক্তি বিশেষকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে, গণপ্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের দ্বারা ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনকে দুর্নীতি বলা হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে দুর্নীতি হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, এই দেশে ঐতিহাসিকভাবে দুর্নীতি চলে আসছে। আর্থিক অসচ্ছলতা, উচ্চাভিলাষী জীবনের মোহ, বেকারত্ব, অর্থের মানদণ্ডে প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মর্যাদার অধিকারী। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, অপর্যাপ্ত বেতন ও পারিশ্রমিক প্রদান, আইনের সঠিক ব্যবহারের অভাব, দুর্নীতি দমনে সদিচ্ছার অভাব, নৈতিক অবক্ষয়, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধের অভাব। বর্তমানে দেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ জীবনযাত্রার  সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির এক মহাবিপর্যয়ের পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে সবাই মুক্ত হতে চায়। দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের করণীয় সত্, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করা দরকার। দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন যেমন ‘  ’ কর্মসূচি। ন্যায়পালের পদ বাস্তবায়ন করা, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, সরকারি নিরীক্ষা কমিটি গঠন, রাজনৈতিক নেতাদের সত্ ও আইনগত নির্দেশনা প্রদান করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যহীনতার জবাবদিহিতার ব্যবস্থাকরণ, দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটকরণ, পর্যাপ্ত বেতন ও পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে। দুর্নীতি দমনে আদর্শ ও সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো মানুষের মাঝে সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করা। কারণ নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ কখনো দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারে না। পারিবারিক পর্যায় থেকে উচ্চ শিক্ষার স্তর পর্যন্ত নৈতিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই সত্, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে ওঠবে। তখন দুর্নীতি নামক এই সর্বনাশা ও সর্বগ্রাসী সামাজিক ব্যাধির মূলোত্পাটন সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের শ্লোগান হওয়া উচিত ‘ ব্যক্তি পরিবর্তনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের দুর্নীতি প্রতিরোধ করা’ । 

ছোটবেলা থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছেলে-মেয়েকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে
মোছা.  হাছনা বেগম
 ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
দুর্নীতির ভারাক্রান্তে আমাদের সমাজ আজ ভারাক্রান্ত। রাষ্র্বে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি গ্রাস করেনি। অনিয়ম আর দুর্নীতিতে সমাজের সবর্ত্র ছেয়ে গেছে। দুর্নীতিতে আজ আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ।  পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ, সচিবালয় ও  মন্ত্রণালয়সহ প্রত্যেক সেক্টর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি আমাদের সমাজ থেকে সহজে দূর হবে না। এজন্য সুদূরপ্রসারী কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার মূল কারণ আমরা নৈতিকতা থেকে দূরে সরে এসেছি। নতুন প্রজন্মকে  দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে  নিম্নোক্ত পলিসি নেয়া যেতে পারে। যেমন, এইচএসসি পর্যন্ত শিক্ষার সকল শাখায় দুর্নীতিবিরোধী  পাঠ বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। ছোটবেলা থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছেলে-মেয়েকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসনই পারে আমাদের সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে। ধর্মীয় আইন মেনে চললে দুর্নীতি  শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। ইসলাম ধর্মে দুর্নীতিসহ অবৈধ সকল কাজ হারাম। আল্লাহ প্রদত্ত এই আইন পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করলে বাংলাদেশে দুর্নীতি থাকবে না। এরকম অন্যান্য ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী অন্য সকল ধর্মাবলম্বী মানুষ চললে দুর্নীতি হ্রাস করা সম্ভব।
অপরদিকে প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে কয়েকটা পলিসি নেয়া যেতে পারে। যেমন, পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশন, শিক্ষা বোর্ড, সকল মন্ত্রণালয় ও সর্বোপরি সরকারি আমলাদের কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  বেতন ও আনুষঙ্গিক সকল সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে। দুর্নীতিবিরোধী সভা-সেমিনার করা যেতে পারে। এছাড়া দুর্নীতি রুখতে জনগণকেও সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি অন্যায় কাজ এটা জনগণকে বুঝাতে হবে। সর্বোপরি সরকার, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বাংলাদেশে দুর্নীতি হ্রাস করা যেতে পারে।

অসাধু কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে  সত্, যোগ্য
এবং মেধাবী লোকদের নিয়োগ দিতে হবে
কাজী জোবায়দা
অনার্স ৩য় বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ
বেগম বদরুনেসা সরকারি মহিলা, কলেজ, ঢাকা।
দুর্নীতি দমন করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের যে কাজটি করতে হবে তা হলো, কোনভাবেই দুর্নীতিবাজদের সাথে আপস করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং তারা যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে না বেরিয়ে যায় সে জন্য আইন ব্যবস্থাকে আরো কঠোর করতে হবে। অসাধু কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে সেই ক্ষেত্রে সত্, যোগ্য এবং মেধাবী লোকদের নিয়োগ দিতে হবে। তাছাড়া দেশের উন্নয়নের কার্যাবলীতে রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক নেতারাও যদি দুর্নীতি করে তাহলে তাদেরও সঠিক বিচার কতে হবে। এবং জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হলো দুর্নীতি দূর করতে হলে রাজনৈতিক কালো হাতের ক্ষমতা বন্ধ করতে হবে, জনগণকে সোচ্চার হতে হবে, দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে নতুন করে কেউ দুর্নীতি করতে ভয় পায়। তাছাড়া দুর্নীতির বিষয়ে কঠিন মনোভাব পোষণ করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করতে হবে।

দুর্নীতিকে জনগণ যেন ধিক্কার জানায়
 এমন জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে
সোহরাব ভুঁইয়া 
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। 
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দুর্নীতি  উন্নয়নের  ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ উন্নত হতে পারছে না। দুর্নীতিবাজরা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের মন্ত্রীরাই রাষ্র্বীয় টাকা লুটপাট করে খায়। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। আমাদের প্রত্যেকটা সেক্টরে দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে আজ আমরা বিপর্যস্ত ও অনুন্নত জাতি । এই অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে হবে। প্রথমেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। তারপর অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি কমাতে হবে।  উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করতে হবে। কিন্তু আমাদের দুদকের কার্যক্রম সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্নীতি দমনের জন্য আইন প্রণয়ন করা দরকার। যাতে কেউ দুর্নীতি করলে তার শাস্তির বিধান করতে হবে। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে নির্দিষ্ট মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া যেতে পারে। তাহলে ভয়ে কেউ দুর্নীতি করবে না। এছাড়া ছেলে-মেয়েকে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা দিতে হবে। তাদের মাঝে ঘৃণা জন্মাতে হবে। আমাদের প্রচলিত আইনকে কার্যকরী করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতিকে জনগণ যেন ধিক্কার জানায় জনগণের মাঝে এমন জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। নৈতিক শিক্ষা ছাড়া দুর্নীতি কমে আসবে না। দুর্নীতি কমে আসলে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

লোভ-লালসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে
সায়মা কাউসার লোপা
অনার্স ৪র্থ বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ
বেগম বদরুনেসা সরকারি মহিলা, কলেজ, ঢাকা।
দুর্নীতি দমন করতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন আমাদের সত্ ইচ্ছা। তবে তার পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি একটু সচেতন হই তবে খুব সহজেই দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে পারি। কেননা একজন সচেতন নাগরিকই পারে একটি জাতিকে সচেতন করতে। তাছাড়া দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে, জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা থাকবে, সংবিধানকে সম্মান করে সেই অনুসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া জীবনযাত্রার মান অনুসারে সুষম বেতন কাঠামো ও পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে। এবং দুর্নীতি দমন  কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও সবচেয়ে বড় কথা হলো নিজের কাছে নিজেকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। কেবল নিজের স্বার্থে নয়, অন্যের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। এবং লোভ-লালসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।

গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচার করতে হবে
মৌসুমী জামান
 অনার্স ২য় বর্ষ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ)
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা।

বর্তমানে দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ ধারণ করেছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দুর্নীতি জড়িয়ে আছে। যা আমাদেরকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি লাগামহীন ঘোড়ার মত ছুটেই চলেছে। তাই আর বসে থাকলে চলবে না। শক্ত হাতে ধরতে হবে এই লাগাম। বন্ধ করতে হবে দুর্নীতির সকল ক্ষেত্র। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচার করতে হবে। এবং মেধা অনুসারে যোগ্য, সুশিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। আইনের প্রয়োগ কঠিন হতে হবে। স্বজনপ্রীতি দূর করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, বরং সমাজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দেওয়ার সুব্যবস্থা রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১১

বাংলাদেশ : গণতন্ত্র উত্তরণের উপায় নতুন প্রজন্মের ভাবনা

ছবি ও অনুলিখন :তামিম মজিদ
বুধ, ১৭ অগাষ্টu-এ ২০১১, ২ ভাদ্র ১৪১৮

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হলেই কেবল এ শর্ত পূরণ হতে পারে
মায়ীশা হক
১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের মানুষের লড়াই অনেক দিনের পুরনো। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই শুরু হয়েছে এ অধিকার আদায়ের লড়াই, এখনো সেটি চলছে। যদিও মাঝে বছর দু’য়েকের একটি বিরতি বাদ দিলে বিগত দুই দশক ধরে অন্তত কাগজে-কলমে হলেও গণতান্ত্রিক শাসনই চলছে বাংলাদেশে, কিন্তু সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে এ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে আরো। কিন্তু কী ভাবে?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আগে খুঁজতে হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় ধরনের হলেও এখানে প্রধান দুটি দলের দুই নেত্রীর হাতে ক্ষমতা এমনভাবে কেন্দ্রীভূত যে তাঁরা নির্বাচিত হলেও প্রায় একনায়কতান্ত্রিকভাবেই সরকার পরিচালনা করে থাকেন। এ ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের সংগঠন পরিচালনায় গণতান্ত্রিক রীতির প্রচলন। আশার কথা, নির্বাচনী সংস্কারের পথ ধরে খুব ধীরে ধীরে হলেও সে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র কেবলই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন নয়, সংখ্যালঘুর মতামতকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা এ প্রক্রিয়ার সাফল্যের অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হলেই কেবল এ শর্ত পূরণ হতে পারে।

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য অনুসারে কাজ করতে হবে
জাবের আল ওসমানী
১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
বর্তমান  বিশ্বে গণতন্ত্র  একটি আলোচিত বিষয়। গণতন্ত্র যুগ-যুগ ধরে রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তা জগতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে আসছে। গণতন্ত্রকে আদর্শ ভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য শত শতাব্দী ধরে সভ্য মানব জাতি সংগ্রাম করে আসছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে গণতন্ত্র একটি প্রাচীনতম ধারণা। কিন্তু সামপ্রতিক কালে গণতন্ত্র নবীন ও জনগণের প্রত্যাশিত শাসন ব্যবস্থা। বর্তমান আধুনিক যুগ গণতান্ত্রিক যুগ। গ্রিক দার্শনিক পেরিক্লিস গ্রীক নগর রাষ্ট্র এথেন্সকে আদর্শ গণতন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। পেরিক্লিস মূলত আইনের শাসন ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী কর্মচারী নিয়োগ করাকেই গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে মনে করতেন। সাধারণ ভাবে গণতন্ত্র বলতে এমন এক ধরনের শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়, যেখানে জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদেরকে শাসন করে। জন স্টুয়ার্ট মিলের মতে গণতান্ত্রিক জনগণ,  গণতান্ত্রিক পরিবেশ, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, আইনের শাসন, ব্যাপক শিক্ষা ব্যবস্থা, জনগণের আস্থা অর্জন, অর্থনৈতিক সাম্য, সামাজিক সাম্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রকরণ, উপযুক্ত নেতৃত্ব, সহনশীলতা, মুক্ত ও স্বাধীন প্রচার , যোগ্য নেতৃত্ব, সুষ্ঠু দলীয় ব্যবস্থা, উন্নত চরিত্র ও নৈতিকতা, সচেতনতা, মুক্ত আলোচনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, অবাধ ও নিরপেক্ষ  নির্বাচন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা  থাকতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য অনুসারে কাজ করতে হবে। এছাড়া বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের উপর সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র অনেকটা শক্তিশালী হিসেবে দেখতে পারব।

জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যকার মতৈক্য দূর করতে হবে
শিরিন সুলতানা
মাস্টার্স ১ম সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
আমরা বহুকাল থেকে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছি। কিন্তু আমরা কখনো গণতন্ত্রের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে পাইনি। এর মূলে রয়েছে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব, স্বদেশ প্রেমের অভাব, অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া, দুর্নীতির গ্রাস, আমলাতন্ত্রে রাজনৈতিক প্রমোশন, স্বজনপ্রীতি  ও আমাদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা। শিক্ষিত রাজনীতিবিদদের অভাব। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হলেও আমরা গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। আমাদের রাজনীতি পরিবারতান্ত্রিক। কাগজে-কলমে বড় দুই রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক সংগঠন। কিন্তু তাদের কাজ-কর্ম স্বৈরতান্ত্রিক মনে হয়। গণতন্ত্র উত্তরণ করতে হলে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যকার মতৈক্য দূর করতে হবে। জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে উঠে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। সর্বোপরি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্মী ও জনগণ গণতন্ত্র মনস্ক হতে হবে। পৃথিবীর উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অনুসরণ করে দেশ চালাতে বিভিন্ন পলিসি গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র পেতে পারি।
শিক্ষার সকল শাখায় গণতন্ত্র বিষয়ে নির্দিষ্ট সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে
মাজহারুল হক সরকার
৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার, অর্থনীতি বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
বাঙ্গালী জাতি গণতন্ত্রমনা। তাই অনেক আগে থেকেই গণতন্ত্রের জন্য সংগাম করে আসছে। ৫২ সালে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। ৭১ মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লক্ষ লোক জীবন দিয়েছে। স্বাধীর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু আমরা আদৌ কী স্বাধীন ? আমাদের রাষ্ট্রে কী আদৌ গণতন্ত্র আছে ? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার পেছনে বহুবিধ কারণ রয়েছে। আমাদের দেশের সর্বক্ষেত্রে চরম দলীয়করণ আর স্বজনপ্রীতি । গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে। কথা বলার অধিকার সবার আছে। কিন্তু সরকারের সমালোচনা করলে পুলিশ এসল্ট মামলা দেয়া হয়। গ্রেফতার করে রাজনীতিবিদসহ বিরোধী মতের সবাইকে নির্যাতন করা হয়। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেল খাটতে হয় নিরীহ রাজনীতিবিদদের। আন্দোলন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। অধিকার আদায়ে জনগণ আন্দোলন করবেই। এটা গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কিন্তু প্রত্যেক সরকারগুলো জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাঁধা দেয়।  রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নৈতিকতা সম্পন্ন জনগণ গড়ে তুলতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষার সকল শাখায় গণতন্ত্র বিষয়ে নির্দিষ্ট সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। সমাজে অন্যায় অবিচার বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত করা প্রয়োজন। সবাইকে স্বদেশ প্রেমে বলীয়ান হয়ে অগণতান্ত্রিক কাজ বর্জন করে সুন্দর ন্যায় ও গণতান্ত্রিক কাজ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।

দলমত নির্বিশেষে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে
শিমুল দত্ত
মাস্টার্স ১ম সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

গণতন্ত্র বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সর্বোত্কৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা। প্রকৃত গণতন্ত্র ধারণ করতে পারলে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রে এখন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা  চালু আছে। উন্নত দেশগুলো গণতন্ত্রের আদর্শ ধরে রাখতে পারছে বলেই তারা উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশ গণতন্ত্রের মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। এ জন্য আমাদের সমাজে এত অশান্তি আর রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। গণতন্ত্রের সুফল পেতে হলে আমাদের রাজনীতিবিদ ও জনগণকে সচেতন হতে হবে। সরকারকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের প্রতিনিধি দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে হবে। অযোগ্য ব্যক্তিদের  প্রশাসনে পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে। দলীয় ভাবে না দেখে মেধাবীদের পদোন্নতি দিতে হবে। প্রশাসনিক কার্যাবলির বিকেন্দ্রকরণ ঘটাতে হবে। আমলাদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। সর্বোপরি দলমত নির্বিশেষে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে যিনি নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন। সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য কাজ করবেন। তাহলেই আমরা গণতান্ত্রিক সোনার বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করতে হবে
সাজিদুল ইসলাম সবুজ
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
পরাধীনতার শৃংখল হতে নিজেদের মুক্ত করতে ও স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল। গণতন্ত্রান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। স্বাধীনতার ৪০ বছরেও আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পাইনি। আমাদের রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছেন? নাকি জনগণ করেছে? আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতার মূল কারণ, প্রত্যেক  গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন, সংসদ, দুদক, বিচার বিভাগসহ  এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকে না। এই সংস্কৃতি থেকে প্রত্যেক সরকার বা রাজনৈতিক দলকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের জন্য প্রথমেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করতে হবে। যেমন, নির্বাচন কমিশন, সংসদ, দুদক, বিচার বিভাগ প্রভৃতি। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলসমূহের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার অভাব রয়েছে্ । সুষ্ঠুু গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকা অত্যাবশ্যক। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তা  না থাকলে তারা ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারবে না।  গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন নেতৃত্ব, শক্তিশালী ছায়া সরকার গঠন, কার্যকর কমিটি ব্যবস্থা, কার্যকর সংসদ ও সর্বোপরি সরকার ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/35993/2011-08-17/19

শাবিতে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

লেখক: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা  |  শুক্র, ১৯ অগাষ্টu-এ ২০১১, ৪ ভাদ্র ১৪১৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সালেহ আহমেদ আব্দুল্লাহর অপসারণ দাবিতে গত বুধবার উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী। ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস কম নেয়া, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, অনুগত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে উত্তর বলে দেয়াসহ নানা অভিযোগ এনে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ স্মারকলিপি দেয়। তার অপসারণের দাবিতে ৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সালেহ আহমেদ আব্দুল্লাহকে বিএএন ২৭২ কোর্স থেকে অপসারণ করা না হলে  বিভাগ অচল করারও  হুমকি দেয় তারা।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/36557/2011-08-19/10

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১১

বাংলাদেশ :গণতন্ত্র উত্তরণের উপায়,নতুন প্রজন্মের ভাবনা

বৃহস্পতি, ১১ অগাষ্টu-এ ২০১১, ২৭ শ্রাবণ ১৪১৮
ছবি ও অনুলিখন ঃ তামিম মজিদ

গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সংসদ কার্যকর করার বিকল্প নেই
মহানাম ভট্টাচার্য মিঠুন
৩য় বষর্, ২য় সেমিস্টার,
সমাজকর্ম বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে প্রথমেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা বাড়াতে হবে। রাজনীবিদরাই পারেন গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে।  কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা নেই। দেশের রাজনীতি এখন পরিবারতান্ত্রিক হয়ে পড়েছে। গঠনতন্ত্রে  গণতান্ত্রিক দল হলেও দুই প্রধানদল পরিবারতান্ত্রিক দলে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক এক দলের নেতা অপর দলের নেতাকে সহ্য করতে পারেন না। এই কাদা  ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতি পরিহার করতে হবে। বড় দুটি দলের যাঁতাকলে গণতন্ত্র আজ পিষ্ট। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সকল রাজনৈতিক দলকে একযোগে কাজ করতে হবে। পৃথিবীর বড় বড় গণতান্ত্রিক দেশের মত আমাদের দেশেও দলের নেতা নির্বাচন ভোটের মাধ্যমে করতে হবে। পরিবারতন্ত্র ও হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির অবসান ঘটানো প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারের উচিত বিরোধীদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করা। আর গণতন্ত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সংসদকে কার্যকর করা।  যে কোন সমস্যা সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা প্রয়োজন। গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সংসদ কার্যকর করার বিকল্প নেই।

সংকীর্ণ মনোভাব পরিহার করলে গণতন্ত্রের পথ উত্তরণে সহায়ক হবে
কাজী রাকিন
৪র্থ বর্ষ, ২য় সেমিস্টার,
ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
শত ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও এখনও প্রকৃত স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। একটি স্বাধীন ভূখন্ড, নিজস্ব ভাষা ও সাহিত্য আর লাল-সবুজের পতাকা পেলেও  দীর্ঘ  ৩৯ বছর পেরিয়ে দেশ পরাধীনতার শেকলে আবদ্ধ হয়ে আছে,পারেনি বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আজও। বর্তমানে আমাদের দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়  চরমভাবে কলুষিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ সংবিধান, শিক্ষাব্যবস্থা, আইনবিভাগ, নির্বাহী বিভাগ তথা আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, প্রশাসন এমনকি প্রতিরক্ষা বিভাগ বিভিন্ন দলীয় ও ক্ষমতাবান শাসকগোষ্ঠীর  প্রভাব ও শক্তিতে প্রতিষ্ঠিত ও আনুগত্যশীল। রাজনৈতিক  দলগুলো ও নেতৃবৃন্দের  দেশপ্রেম বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তারা পরস্পর হিংসা , মারামারি আর কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত। তাই একটি দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন  নিখাদ দেশপ্রেমিক ও  সচেতনতা ।
আমার মতে, দেশপ্রেমের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দক্ষ ও মহান মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারলেই গণতান্ত্রিক রূপ পেতে পারে। তাছাড়া চাটুকারী রাজনীতি পরিহার করে পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে  জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের  মাটি ও মানুষের অগ্রগতির প্রচেষ্টা চালাতে হবে । শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করে ধর্মীয় বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করে দেয়া উচিত। এতে ধার্মিক ও নৈতিকতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে রুখতে পারবে দুর্নীতি, উত্তরণ করবে আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা। সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা  ও সাহিত্য শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সর্বোপরি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে  উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক স্বাধীন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র চর্চা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, মানবিক অধিকার ও নিরাপত্তা সংরক্ষণ, পরনির্ভশীলতা, মানবিক বৈকল্য, সংকীর্ণ মনোভাব  পরিহার করলে গণতন্ত্রের পথ উত্তরণে  সহায়ক হবে।

দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে ওঠে রাজনীতিবিদের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে
দীপান্নিতা বাড়ৈ
৩য় বষর্, ২য় সেমিস্টার,
অর্থনীতি বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন ‘Democracy  is for the people, of the people and lon the people’ কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপেটে গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করা যায়, ‘Democracy is for few people, of few people and by few people’। স্বাধীনতার দীর্ঘদিনেও আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পাইনি। আমরা আমাদের দেশের গণতন্ত্র মূলত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দিন দিন  ভেঙ্গে পড়েছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার বিদ্বেষ মূলত এই অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা তৈরি করতে হবে। রাজনীতিকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার না করে সমগ্র জাতির কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিরোধী দলকে নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে না বলে সরকারী দলকে স্বাগত জানাতে হবে। বিরোধীদল সরকারকে সাহায্য করতে হবে দেশের অগ্রগতির জন্য। দেশের জনগণকেও সচেতন হতে হবে তাদের অধিকার সম্পর্কে। সর্্বোপরি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে বিচার বিভাগসহ প্রত্যেক সরকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন করতে হবে। রাষ্র্বপতিকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে ওঠে সমগ্র জাতিকে নিয়ে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধীদের ক্ষমা বন্ধ করতে হবে। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে ওঠে রাজনীতিবিদের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক সংগঠনকে গণতান্ত্রিকমনস্ক হতে হবে। বিভিন্ন ইস্যুতে  সরকারের একক ক্ষমতাবলে আইন পাস না  করে বিরোধীদলের মতামত নিয়ে আইন ও নীতিমালা  প্রণয়ন করা জরুরী। তাহলেই আমরা গণতন্ত্রকে শক্তীশালী হিসেবে দেখতে পাব।  

দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত ও স্বাধীন করতে হবে
মৌসুমী কপালি
৩য় বষর্, ২য় সেমিস্টার,
রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

গণতন্ত্র চর্চা হয় না বলেই আমাদের দেশের গণতন্ত্র খুবই দুর্বল। রাষ্ট্রীয় নাম ‘Peoples Republic of Bangladesh’ হলেও কাজে পরিবারতান্ত্রিক বাংলাদেশ। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। রাজনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। জাতিকে বিভক্ত না করে  ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিককে এক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের দেখে মনে হয় রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতা গণতন্ত্রের পূর্বশত। এই অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত ও স্বাধীন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্বচ্ছতা, ক্ষমতার স্বাতন্ত্র্যীকরণ নীতি প্রণয়ন, সরকারের প্রতিটি বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিতে হবে। সরকারকে জনগণের ইচ্ছার প্রাধান্য দিতে হবে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরী। তাহলেই অশিক্ষিত ও  অযোগ্যরা জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না। অযোগ্য নেতৃত্ব বন্ধ হলে গণতন্ত্রের সুফল পাওয়া যাবে।

‘রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকই সমান’ এই চিন্তা মাথায় রাখতে হবে
আতিক মাহবুব
৩য় বর্ষ ২য় সেমিষ্টার,
সমাজকর্ম বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট।

আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে আছে ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক চেতনা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের রয়েছে নিজস্ব স্বাতন্ত্র। সেই হিসেবে আমাদের চেতনা ও মন মগজে মুক্তিযুদ্ধ এখনও চিরউজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধে আবাগহন। যার কারণে এই দেশে অতীতে বিভিন্ন সময়ে বেনিয়ারা আমাদের চেতনাকে ধ্বংস করার পায়তারা করেছিল। কিন্তু এই জাতি সেইসব বিদেশী প্রভুদের শক্ত জবাব দিয়েছিল। মুক্তবুদ্ধি চর্চা ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা না হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সামপ্রতিককালে আমাদের রাজনীতিতে মুক্তবুদ্ধি চর্চা  ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। মিডিয়া দলন, স্বৈরচারতন্ত্র, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাসহ  রাষ্ট্রকে সর্বক্ষেত্রে দলীয় করণে সুষ্ঠ গণতন্ত্র কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে দেশের রাজনৈতিক চালচিত্রে ক্রমশ পটপরিবর্তন হচ্ছে। জনগণের আশা আশঙ্খার প্রতি বর্তমান সরকার যেন ভ্রক্ষেপ করছে না।
জণগণের সাথে কৃত ওয়াদা ভুলে গিয়ে সরকার যে ধারার সৃষ্টি করতে চাইছে তা কখনো রাষ্ট্রে কাম্য হতে পারে না। তাই আমার মতে,বালাদেশকে একটি আধুনিক ডিজিটাল স্বদেশ হিসেবে গড়তে হলে সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রে জনগণের কাম্য বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত নীতি সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। আাামাদের শিক্ষা ব্যবস্থা,ব্যবসা বাণিজ্যেসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্র  লালনে আজীবন বিভাজন রয়ে যাবে। তরুণ প্রজন্মদের সামনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো সক্রিয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। দেশের ধারক এবং বাহক হিসেবে তাদেরকে আগামী দিনের জন্য আরো যোগ্য ও খাটি দেশপ্রেমিক হিসেবে  গড়তে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এখনই জরুরী। পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে আইনের সুষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হব। ‘রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকই সমান’ এই চিন্তা মাথায় রাষ্ট্র দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে জনগণের জন্য সরকার এই অবলম্বন নিশ্চিত করতে হবে।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/34705/2011-08-11/19

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১১

শাবির শাহপরাণ হলে চরম পানি সংকট

Posted by - bangladeshbarta.com | Publish Date -অগাষ্ট ৭, ২০১১ Categories - শিক্ষাঙ্গন
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে চরম পানি সংকট বিরাজ করছে। পাইপলাইন সংস্কারের অভাবে পানি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। হলের ব্লক গুলোতে প্রায়ই পানি পাওয়া যায় না। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শাহপরাণ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের। পানি সমস্যা সমাধানে হল অফিসে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কাজ হয়নি বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। হল কর্তৃপক্ষের  উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আবাসিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, এ ব্লকের দ্বিতীয় তলায় পানি আসে না বললেই চলে। পানির একটি টেপেও ভালো ভাবে পানি আসে না। আর বাকী টেপ  ছাড়লে তো পানির অস্থিত্ব খুজেঁ পাওয়া যায়  না। ওজু, গোসল ও প্রয়োজনীয় কাজ সারতে  শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি হয়। শুধু এ ব্লকে নয় হলের বাকী তিনটি  ব্লকের পানির অবস্থা একই। তা ছাড়া হলের পানিতে আয়রন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পানির  ট্যাংক নিয়মিত পরিস্কার না করায় টেপ থেকে লাল নোংরা  পানি আসে। পানি খাওয়ার অযোগ্য পড়েছে। তবুও  বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদেরকে এসব নোংরা পানি খেতে হয়। এছাড়া বাথরুম ও  বেসিন গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এ গুলো সপ্তাহে ২/৩ বার পরিস্কার করার কথা থাকলেও একমাসেও একবার পরিস্কার করা হয় না। সুইপার হাসানসহ অনেকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই।  সংশ্লিষ্ট সুইপাররা মাসে কাজ না করেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন। এসব সুইপাররা কাজ না করে প্রতিদিন হলের সামনে বসে রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে আড্ডা দিয়ে থাকে।
শাহপরাণ হলের আবাসিক ছাত্র আতিক অভিযোগ করে বলেন, গোসল করতে গেলে অর্ধেক শরীর ভেজা পরে আর পানি মিলে না। পানি সমস্যার জন্য হল অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল মিলে না। হল সুপারকে বারবার বলার পরেও তিনি সমস্যা সমাধানে কোন উদ্দ্যোগ নিচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট কর্মচারী রফিকুল ইসলাম জানান, পানি সমস্যার মূল কারণ পাইপলাইন। যেখানে দেড় ইঞ্চি পাইপ থাকার কথা সেখানে আছে হাফ ইঞ্চি পাইপ। পানির স্থায়ী সমাধান করতে হলে দেড় ইঞ্চি পাইপ লাগাতে হবে। তাহলে এ সমস্যা কমে আসবে। পাইপ ও মালের অভাবে তিনি কাজ করতে পারছেন না।
হল সুপার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, আজকে মালামাল কিনে দিয়েছি। শীগ্রই কাজ শুরু করা হবে।
http://bangladeshbarta.com/2011/08/07/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8/ 

শাবির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম ও হলের উদ্ভোধন ১৩ আগস্ট

Posted by - bangladeshbarta.com | Publish Date -অগাষ্ট ৮, ২০১১ Categories - শিক্ষাঙ্গন
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ঃ  
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে  নির্মিত বৃহত্তর সিলেটের সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন মিলনায়তন সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম উদ্ভোধন করা হবে আগামী ১৩ আগস্ট। একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত সৈয়দ মুজতবা আলী হলের একটি ব্লকের (একাংশ) উদ্ভোধন করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  নবনির্মিত ভবন গুলোর উদ্ভোধন করবেন। আজ সোমবার উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে  প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান  কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস।  এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন, শাহপরাণ হলের প্রাধ্যক্ষ সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ, ১ম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও রেজিস্টার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন প্রমূখ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নবনির্মিত সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ‘৩য় ছাত্র হল’  একটি ব্লকে  আপাতত ৭০ জন ছাত্র আবাসন সুবিধা পাবেন। পর্যায়ক্রমে হলের বাকী ব্লক গুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে। আর ১২শ আসন বিশিষ্ট সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণে আসবাবপত্রসহ মোট ব্যয় হয়েছে ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেন্টাল অডিটোরিয়াম বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের জন্য ভাড়া দেয়া হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। উদ্ভোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের  মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার, মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস, ইমরান আহমদ, শফিকুর রহমান ও সৈয়দা জেবুন্নেসা হক প্রমূখ।
http://bangladeshbarta.com/2011/08/08/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF/

‘কোন কিছু আবিষ্কারের মূলমন্ত্র হচ্ছে স্বপ্ন দেখা’

লেখক: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা  |  সোম, ৮ অগাষ্টu-এ ২০১১, ২৪ শ্রাবণ ১৪১৮
কোন কিছু আবিষ্কারের মূলমন্ত্র হচ্ছে স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নই আপনাকে নতুন কিছু আবিষ্কারের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা স্বপ্ন দেখেছি এদেশের জন্য-এদেশের মাটির জন্য। ফলে আমরা পাটের জন্ম রহস্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছি। এক্ষেত্রে আমার ভূমিকা ছিল শুধুমাত্র গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যার বাকি কাজটুকু করেছেন সহকর্মীরা। গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের উদ্যোগে মিনি-অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ফান্ডামেন্টাল সায়েন্স টু এগ্রো/মেডিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন: জেনুম ব্যাজেস্ ডিসকবারি প্লাটফর্ম’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জুট জিনোম প্রজেক্টের প্রধান,পাটের জন্ম রহস্যের উদ্ভাবক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই-এর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম।
স্কুল অব লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াসউদ্দীন বিশ্বাস, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. কামালউদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/33990/2011-08-08/45

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১১

পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং

তামিম মজিদ,শাবি:
বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপূর দেশ। এ দেশের মাটির নিচে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস,  বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তি ও প্রকৌশলীর অভাবে দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও খনিজ তেল উত্তোলনের দায়িত্ব বিদেশী কোম্পানীর হাতে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে তারা উত্তোলনকৃত সিংহভাগ খনিজ সম্পদ তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। বিশাল এই সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপূর থাকা  সত্বেও দক্ষ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তির অভাবে সে সম্পদ কাজে লাগাতে পারছেনা বাংলাদেশ। দেশীয় প্রকৌশলী তৈরী করে বিদেশীদের হাত থেকে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার লক্ষে দেশে  প্রথম পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক কোর্স খোলা হয়  সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।   আপনি যদি এ বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে পড়তে পারেন পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। শিক্ষার্থীদের কাছে বর্তমানে এ বিষয়ের চাহিদা  ব্যাপক।
শুরুর কথা :
দক্ষ পেট্রোলিয়াম ও খনিজ প্রকৌশলী গড়তে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে স্কুল অব এপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির অধীনে ‘মিনারেল এন্ড পেট্রোলিয়াম টেকনোলজি’ নামে বিভাগ খোলা হয়। ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম ও একমাত্র পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।  এরপর যুগের চাহিদার সাথে কর্মক্ষেত্র প্রসার করা ও খনিজ সম্পদে দক্ষ করে তৈরী করার লক্ষে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ’পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং (খনিজ) ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগ নামে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকৌশল বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
কোথায় পড়বেন : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব এপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির অধীনে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং (খনিজ) ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে।
ভর্তির যোগ্যতাঃ বিজ্ঞান শাখা থেকে ২০১০ ও ২০১১ সালে এইচএসসি উত্তির্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার জিপিএ যদি এসএসসি ও এইচএসসি উভয় মিলে ৭  পয়েন্ট থাকে তাহলে আপনি ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এ বিভাগের ৩০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হলে মেধা তালিকা অনুযায়ী আপনার কাংখিত এই বিভাগটিতে ভর্তি হতে পারবেন।  আগামী অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। ওয়েবসাইট www.sust.edu লগইন করলে ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
কি পড়ানো হয়
বর্হি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং (খনিজ) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। এর সাথে সামজ্ঞস্য রেখে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। বিভাগের আওতায় পড়ানো হয় ইনট্রোডাকশন পেট্রোলিয়াম, আর্থ সিস্টেম সায়েন্স, কেমিস্টি ফর পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলজি এন্ড মিনারেলজি, ফ্লুইড ম্যাকানিক্স্র, সেডিমেন্টারি রক্স এন্ড স্ট্যাটিগ্রাপি, ফ্লুইড পপারটিজ, জিও ম্যাকানিক্স্র জিটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনহান্সর্ড ওয়েল রিকভারি, কন্টোল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, হাজারড্স এন্ড রিকর্স ইন পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যাচারেল গ্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাষ্টিয়াল ইকোনোমিক্স্র এন্ড ম্যানেজমেন্ট, ওয়েল টেষ্ট এ্যনালাইছিছ, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রিজারভার সিমুলেশন, ওয়েল এন্ড গ্যাস প্রোপারটি ইভুলেশন, মাইন এগজামিনেশন এন্ড ইভুশেন, মাইন ডিওয়াটারিং এন্ড সাফেটি, এনভায়রনমেন্টাল এসেপট অব মিনারেল অপারেশনসহ মোট ১৬৫ ক্রেডিটের নানা বিষয়।
ল্যাব সুবিধা
মানসম্পন্ন বিভাগ ও  ল্যাব সরঞ্জাম অত্যন্ত দামি হওয়ায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের ল্যাব ব্যবহার করে থাকেন। বিভাগে রিজারভার সিমুলেশন ও বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড, কয়লা খনি ও  খনিজ তেলসহ বিভিন্ন ইন্ডাষ্টির ল্যাবে ব্যবহারিক কাজ করে থাকেন।
কর্মক্ষেত্র
চাকরিরর বাজারে পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাসকৃত শিক্ষার্থীদের বেশ কদর রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র  পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি নতুন সৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় এর কর্মক্ষেত্র রয়েছে। বাপেক্সের অধীনস্থ সকল কোম্পানী, পেট্রোবাংলা, শেভরন, এটোমিক এ্যনারজি কমিশন, গ্যাস ক্ষেত্র , কয়লা, তেল ও কঠিন শিলাসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। এছাড়া এ বিভাগ থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের বিদেশে সহজে স্কলারশীপ সুবিধা পাওয়া যায়।
বিভাগীয় প্রধানের কথা
পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. এম ফরহাদ হাওলাদার বলেন, শাবিপ্রবিতে প্রতিষ্টিত দেশের প্রথম এই বিভাগ খোলার উদ্দেশ্য  ন্যাচারেল রিসোর্স সমূহের উৎপাদন ও বন্টনের ব্যবস্থা করা। এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন ন্যাচারেল রিসোর্স আবিস্কার, উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনার্স সম্পন্ন করার সাথে সাথেই জব পেয়ে যায়।
http://bangladeshbarta.com/2011/08/05/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%82/

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে নয়নাভিরাম ক্যাম্পাস

তামিম মজিদ,শাবি:
দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ পাহাড়ি সমতলের পাদদেশে অবস্থিত দেশের অন্যতম  ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দের্যে নয়নাভিরাম ক্যাম্পাস। শতশত প্রজাতির হাজার হাজার বৃক্ষ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে গভীর ভাবে ফুটিয়ে তোলেছে। এখানকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাথে প্রকৃতির রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। বিশেষ করে ছবির মতো সারি সারি বৃক্ষে সাজানো শিল্পীর অনুপম চিত্রে এখানকার ভোর হয় এক ফসলা শিশিরের নিখুত ছোয়াঁয়। ভোর বেলায় পাখির কলতানে ঘুম ভাঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলোর ছাত্রছাত্রীদের । ক্যাম্পাসের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করলে ক্লান্ত পথিকের  শরীর মন জুড়িয়ে  যায় আবহমান বাংলার রুপ রুপান্তরে । হাজারো বুক্ষের সমারোহ আপন মহিমায় ভাস্বর হয়ে আছে মনমুগ্ধোকর চিরচেনা সেই ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতে গেলেই প্রথমে মুগ্ধ হতে হয় বিধাতার নির্দেশে দাড়িঁয়ে থাকা সারি সারি বৃক্ষ দেখে। এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে গভীর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে নানান প্রজাতির বৃক্ষ গুলো। মেইন গেইট থেকে গোল চত্বর,একাডেমিক ভবন,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হল,সেন্টাল অডিটোরিয়াম, শাহপরাণ হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল, ২য় ছাত্র হলসহ ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটি রাস্তার দু’পাশে রয়েছে বৃক্ষ । শহীদ মিনারের টিলা ও পার্শ্ববর্তী টিলাগুলোর  গাছ দেখলে যে কোন পথিকের মন ছুয়েঁ যায়। সমস্ত ক্যাম্পাস ঘুরলে দেখা যায়,প্রশাসনিক ভবন,আবাসিক হল,ভিসির বাংলো,ডরমিটারি,টিচার্স কোয়াটার,শহীদ মিনার, পাহাড়ের টিলাসহ ক্যাম্পাসের সবর্ত্র  রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য  প্রজাতির বৃক্ষ। কি নেই তাতে ? জাম,জামরুল, কদবেল, আতাঁ, কাঠাঁল, নারিকেল,আরো আছে জারুল,চাপাতি,শিমুল,হরতকি,অর্জুন,নাগেশ্বরসহ বনজ,ফলজ,ঔষধি হরেক রকমের গাছ। মায়ামাখা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে প্রকৃতির বর্ণিল সাজে। এসব গাছের নিচে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত চলে গ্রুপ স্টাডি, আড্ডা আর প্রেমিক প্রেমিকাদের বিচরণ। ছাত্রী হলের পাশের টিলা আর শহীদ মিনারের পার্শ্বের টিলার বৃক্ষের নিচে হরহামেশা জুটিদের বিচরণ করতে দেখা যায়। হলের আশ পাশ এলাকায় বৃক্ষের নিচে বসে প্রিয়জনের সানিধ্য পেতে একটুও কার্পণ্য করে না ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। গাছের নিচে বসে শুনায় মনের কথা। আর ক্যাম্পাসে ক্লাসের ফাকেঁ একটু সময় পেলেই প্রকৃতির নিচে বসে সময় কাটায় শিক্ষার্থীরা।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২০ একর জমির কোথাও পরিত্যক্ত জমি নেই । কোথাও রোপন করা হয়েছে ধান,কোথাও মৌসুমি সবজি,কোথাও ফলের বৃক্ষ আবার কোথাও লাগানো হয়েছে ঔষধি প্রজাতির গাছ। প্রতি বছর বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রশাসনের উদ্দ্যোগে প্রতি বছর কয়েক হাজার চারা রোপন করা হয়। বৃক্ষ রোপন ও গাছ পরিচর্যার সার্বিক তত্বাবধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ । বৃক্ষ রোপন ও ক্যাম্পাসে বনায়নের জন্য শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ২ বার জাতীয় পদক পেয়েছে। সর্ব শেষ ২০০৯ সালে শাবি জাতীয় বৃক্ষ রোপন পদক লাভ করে।
http://bangladeshbarta.com/2011/08/05/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81-3/

মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১১

জীবন বাচাঁনোর নাটক ‘ভাবমূর্তি’

লেখক: তামিম মজিদ  |  বুধ, ৩ অগাষ্টu-এ ২০১১, ১৯ শ্রাবণ ১৪১৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরের দরিদ্র পরিবারের ছেলে লতিফ। পাঁচ বছর বয়সেই বাবাকে হারান। বাধ্য হয়েই মা পরিবারের হাল  ধরেন। বাবা যেহেতু বেঁচে নেই, তাই পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েন  লেগেই থাকত। অনেক দুঃখকষ্টে বড় হন। গ্রামের স্কুলে  প্রাইমারি পাস করেন। প্রাইমারি পাস করার পর ছেলেকে মানুষ করার জন্য কোন কাজে না লাগিয়ে লতিফের মা তাকে হাইস্কুলে ভর্তি করেন। পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকায় হাইস্কুল লাইফ থেকে টিউশনি শুরু করেন। সামান্য যে টাকা পেতেন পড়াশুনার খরচের পাশাপাশি মাকে কিছু হলেও দিয়ে সাহায্য করতেন।
মায়ের অনুপ্রেরণায় অভাব-অনটনের মাঝেও লেখাপড়া চালিয়ে যান। লতিফ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। বিসিএস ক্যাডার করেন। প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন ছোট বেলা থেকেই। ২০০১ সালে এসএসসি সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। এইচএসিতে ভর্তি হন স্থানীয় কলেজে। এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মেধাবী ছাত্র থাকায় তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চেষ্টা চালিয়ে যান সেই স্বপ্ন পূরণ করার। আর তাই লতিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হন।
২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন পরিসংখ্যান বিভাগে। মেধাবী ছাত্র ও ছোট বেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখতেন বলেই সীমাহীন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কৃতিত্বের সাথে অনার্স সম্পন্ন করে মাস্টার্সে ভর্তি হন একই বিভাগে। কিন্তু দুরারোগ্য ক্যান্সার (এডিনোকারসিনোমা) লতিফের সব স্বপ্ন হারিয়ে যেতে বসেছে। অর্থের অভাবে তার জীবন ্রদীপ এখন নিভু নিভু। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী টাকার অভাবে তার জীবন হার মেনে যেতে বসেছে। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের কাছে তার লালিত স্বপ্নে এখন কালো মেঘের ছায়া।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবিকার জন্য এই দায়বদ্ধতার টানে লতিফের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নাট্য সংগঠন থিয়েটার সাস্ট। লতিফের জীবন বাঁচানোর জন্য আয়োজন করেছে নাটক ‘ভাবমূর্তি’। নাটকের টিকেটের সমুদয় অর্থ তার চিকিত্সার্থে পরিবারের কাছে দেয়া হয়। গত ২৭ জুলাই শাবিপ্রবির মিনি অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় জীবন বাঁচানোর নাটক ‘ভাবমূর্তি’ প্রদর্শন করা হয়। লতিফের টানে উক্ত প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। উন্নত চিকিত্সার জন্য লতিফ এখন  কলকাতা মহাত্মা গান্ধী ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিত্সাধীন আছেন। তার চিকিত্সার জন্য ১০/১২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে তার মা ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন। এই মেধাবী ছাত্রকে বাঁচাতে মানবিক বিবেকে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত প্রসারিত করুন। লতিফের মা তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তশালী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। আপনার সাহায্যেই বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনাদের আর্থিক সহায়তাই মেধাবী  লতিফের জীবন ফিরে পেতে পারেন।  লতিফকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ হিসাব নং ১১৮-১০১-১৭৮০৭৩, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। মোবা: ০১৭১৭১৮৯৫১৫/ ০১৫৫৩৫৫৩৩৭০।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/32741/2011-08-03/21

বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনী নতুন প্রজন্মের ভাবনা

শনি, ৩০ জুলাই ২০১১, ১৫ শ্রাবণ ১৪১৮
সরকারের উচিত ছিল ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা
রাকিন আল নিদাল
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে নিশ্চিত সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। সরকারের নির্দেশেই নির্বাচন কমিশন কাজ করে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এই তত্ত্বাবধায়ক আওয়ামী লীগই আন্দোলন করে এনেছিল্ । এখন আবার সুবিধা বুঝে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।  আর সংবিধানে একসাথে সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র কিভাবে চলে ? সংবিধানে এক সাথে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতা সাংঘর্ষিক।  এটা জনগণকে ধোঁকা দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়। যেহেতু সংবিধান সংশোধনীতে জনগণের মতামত নেওয়া হয়নি তাই এটি জনগণের সংবিধান নয়, আওয়ামী লীগের দলীয় সংবিধানে পরিণত হয়েছে। সরকারের উচিত ঐকমত্যের গণভোটের মাধ্যমে ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা । তাহলেই কেবল সংবিধান সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে।

দ্বিমুখী নীতির কারণে সংবিধান সংশোধনীর কোন সুফল পাওয়া যাবে না
মিজানুর রহমান,
৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
সমপ্রতি সরকার পঞ্চম সংশোধনীর বিল পাস করেছেন, এই সংশোধনী নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। সংবিধানে জিয়াউর রহমান ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করায় তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ কথা বলে আসছিল।  কিন্তু পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সত্ত্বেও পঞ্চদশ সংশোধনীতে জনগণের সেন্টিমেন্টের  কথা বলে এখন সেই বিসমিল্লাহ বহাল রেখেছে। এটি জাতির সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। বর্তমান সংবিধান সংশোধনীর কয়েকটি ধারা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করা হয়েছে, আবার একই সাথে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বহাল রাখা হয়েছে। এই ধারা  পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে এই সংবিধান দিয়ে কি হবে। আর ধর্মনিরপেক্ষতা রাখলে  বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করা উচিত ছিল্ । সরকারকে যে কোন একটি বিষয় রাখতে হবে। এই দ্বিমুখী নীতি জাতির সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত নিজেই বলেছেন এই সংবিধান সংশোধন দিয়ে তারা কাউকেই খুশি করতে পারলেন না। প্রকৃতপক্ষে সংবিধান সংশোধন করে কাকে খুশি করতে চায় এটি জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে। এই দ্বিমুখী নীতির কারণে সংবিধান সংশোধনীর কোন সুফল পাওয়া যাবে না।

সংবিধান সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে
মারিয়া সুলতানা মৌরি
৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার, লোক প্রশাসন  বিভাগ,  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
বর্তমান সংবিধান সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। পঞ্চাদশ সংশোধনী অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও জঙ্গীমুক্ত দেশ গড়তে সাহায্য করবে। সংবিধানের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা ও টিকে থাকবার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। পৃিথবীর বড় বড় গণতান্ত্রিক দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু নেই। আমরা যদি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করি তবে আমাদেরকেও একই পথে হাঁটতে হবে। যেমন ভারত, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য হল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। কিন্তু সত্যিকারের গণতান্ত্রিক স্বাদ পেতে হলে এই শুরুটা অবশ্যই করতে হবে যে, পূর্বের সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুটি লাভ হবে। এক. নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, জাতীয়ভাবে সকলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা হবে, যা কোন সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আবশ্যিক। দুই. ৭২-এর সংবিধান পুনর্বহালের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি পুনর্বহাল, যা অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগাবে।  এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়ায়  প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। 
৭২-এর সংবিধান ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গঠন করা সম্ভব
প্রিয়াংকা
৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার,
রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
বর্তমান সংবিধান সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। যা আমাদেরকে অন্যায় শোষণ, শাসন, নির্যাতন ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগাবে। অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সাহায্য করবে। আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হলে ৭২-এর মূল সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। তা না হলে  মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ব। ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করা সম্ভব হবে।

সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা পুরোপুরি পুনর্বহাল হয়েছে
মো: নাজমুস সাকিব তানভীর
এল.এল.বি অনার্স (৯ম সেমিস্টার)
অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়েছে। সংবিধানের কিছু স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছে। যে ইস্যুগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন শুরু করেছে সেগুলো হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং বিসমিল্লাহ্-এর  ব্যবহার। এখানে প্রধান বিরোধী দলের দাবি হল-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেন থাকে, ইসলামিক দলগুলোর দাবি মনে হচ্ছে বিসমিল্লাহ্-এর ব্যবহার প্রসঙ্গে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন বাংলাদেশের জন্য খারাপ। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কারণে ১/১১ এর মত সংকটময় অবস্থায় পড়তে হয়েছিল এই দেশকে। এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ওপর কারো বিশ্বাস নেই। যেখানে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষভাবে গড়তে পারলে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দরকার হয় না। হরতাল করে মানুষ ও দেশের ক্ষতি না করে সব রাজনৈতিক দল আলোচনার মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করতে পারে।
আদালত কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির ইস্যু আগে থেকে উঠলেও তা জোরালো হয় সংক্ষিপ্ত রায়ের পরে। পরবর্তী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধনের সময়ে রায়ের একটি দিক আমলে নিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছে। ৭২-এর সংবিধান পুনর্বহালের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি পুনর্বহাল হয়েছে যা আমাদেরকে সকল প্রকার অন্যায়, শোষণ-শাসন, নির্যাতন ও অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে প্রেরণা যোগাবে।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ১২ কে পুনঃস্থাপিত করার সাথে সাথে অনুচ্ছেদ ২ ক-তে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম পূর্বের অবস্থায় বহাল রাখা হয়েছে। যদিও বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম-এর বঙ্গানুবাদে পরম সৃষ্টিকর্তার নামে শব্দটি ব্যবহার হয়েছে। আমাদের দেশে সমস্যা হল-সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, প্রগতিশীল সকলকে সন্তুষ্ট রাখা। সকল মানুষের মধ্যে সংবিধান প্রসঙ্গে সচেতনতা  গড়ে তোলা উচিত।

জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান
সংশোধন হওয়া উচিত ছিল
সুমাইয়া ইয়াছমিন (সুবর্ণা)
৭ম সেমিস্টার (এল.এল.বি অনার্স)
অতীশ দিপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা
ধর্মনিরপেক্ষতা, আর রাষ্ট্রধর্ম একসাথে রাখা হয়েছে; কিন্তু কেন। আমরা যদি তাকাই সংবিধানের ২৮ নং অনুচ্ছেদে। সেখানে বলা হয়েছে পারস্পরিক কোন বিরোধিতা কোন বিষয়ে থাকবে না। সরকারের এদিকে একটু লক্ষ্য করা উচিত। তার চিন্তা থাকবে একটাই-মানব ধর্মই রাষ্ট্রের ধর্ম, মানব কল্যাণই রাষ্ট্রের কল্যাণ।
এ বছর (২০১১) সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে আরো দুই মেয়াদ এই ব্যবস্থা  বহাল রাখা যেতে পারে বলে মত দেন। এটিকে পুঁজি করে সরকার যে সংশোধনী আনে তাতে পূর্বের সংবিধানের মূলনীতি থেকে শুরু করে ৪৮টি সংশোধনী হয় যাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ কল্যাণ ভোগ করবে। সংবিধানের ২৩ (ক) অনুচ্ছেদে উপজাতীয়দের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে; কিন্তু অনেক উপজাতি এতে সন্তুষ্ট নয়। তারা জাতির স্বীকৃতি চায় অর্থাত্ আদিবাসী হিসাবে। তাই আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে দাবি করতে পারি সংশোধনী অবশ্যই হবে। তবে দুই দলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে এবং জনগণের মতামতকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে।
অনুলিখন: তামিম মজিদ
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/31963/2011-07-30/19

বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনী নতুন প্রজন্মের ভাবনা

রবি, ৩১ জুলাই ২০১১, ১৬ শ্রাবণ ১৪১৮
স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা ও টিকে থাকার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে
আসিফ শাহরিয়ার
৪র্থ বর্ষ, ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অবশ্যই ইতিবাচক দিক রয়েছে। এই সংশোধনিতে সকল ধর্মের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়  ফেরার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন সম্ভব হবে। সকল ধর্মের সমঅধিকারের  অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে। আর অনির্বাচিত তত্ত্বাধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা ও টিকে থাকার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে।  অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের বিচারের আইন করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করলে বিরোধীদলকে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল মানতে হবে। আর যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে  রাজনীতি করে তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার আইন করে ব্যবস্থা নিবে এটি দেশের মানুষ চায়। সর্বোপরি, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত ও স্বৈরাশাসক মুক্ত এবং আধুনকি ডিজিটাল ও উন্নত  দেশ গঠনে পঞ্চদশ সংশোধনী ভূমিকা রাখবে। এই যুগোপযোগী পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তার স্বপ্নীল লক্ষ্যে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরো সুদৃঢ় হল। দেশের মানুষের প্রয়োজনে সরকার  সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি এ জন্য সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য শাবিপ্রবির মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এই সংশোধনীর পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে
দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন
জে আরা সিনথিয়া
৪র্থ বর্ষ, ২য় সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

সংবিধান সংশোধনীর সুফল সাধারণ জনগণের নেই বললেই চলে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসে তাদের নিজেদের ফায়দা হাসিলের সংবিধান সংশোধনী করে। ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরার জন্য নিজেদের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করে। যেমন ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার জননিরাপত্তা নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছিল। এটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিরোধীদল দমনে ব্যবহার করার জন্য মূলত করা হয়েছিল।  তেমনিভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর র্যাব গঠন করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল আইন -শৃঙ্খলা ও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদান করা । কিন্তু র্যাব ও বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের দমনে সরকারের নির্দেশে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহাজোট সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে  পঞ্চদশ সংশোধনী নিশ্চিত দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে নিয়ে যাবে। আরেকটি বিষয়, সংবিধানে বিসমিল্লাহ আছে অথচ আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নেই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে। এটা কোন্ ধরনের আদর্শ। এই নীতি কোন আদর্শই সমর্থন করে না। চতুর্থ সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়া করে পাস হয়েছিল, এর ফল যে কত ভয়াবহ হয়েছিল ঠিক তেমনি পঞ্চদশ সংশোধনী তাড়াহুড়া করে একতরফাভাবে পাস হয়েছে। এই সংশোধনীর পরিণাম বা ফলাফলও খুবই ভয়াবহ হবে বলে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সংবিধান বিষেজ্ঞরা মত দিয়েছেন।

সংবিধান সংশোধন হোক মহান
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনায়
মো. জিয়াউল হক চৌধুরী (বাবু)
এল,এল,এম (লাস্ট সেমিস্টার)
উত্তরা ক্যাম্পাস
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হলেও কিছু কিছু বিষয় একেবারে অগ্রহণযোগ্য। ধর্ম নিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার মধ্যে একটি বিরাট গোজামিল লক্ষ্য করা যায়। যদিও সংশোধনিতে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অনুচ্ছেদ ২/ক ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে  বজায় রাখা এবং অনুচ্ছেদ-১২ ‘রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা’ যা চরমভাবে স্ববিরোধী। সংবিধানে কোন ধর্মীয় ইজম থাকলে তা কখনো গণতান্ত্রিক নাগরিক রাষ্ট্রের সংবিধান হতে পারে না। ফলে সৃষ্টি হবে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল, তারা কি এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বিধান সংবিধানে রাখতে পারে?
সংবিধান হওয়া উচিত রাষ্ট্রের সকল নাগরিকদের জন্য পালনীয়। রাষ্ট্রে সকল ধর্মের-বর্ণের মানুষের বসবাস। সুতরাং সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত যে কোন ধর্মীয় ইজমের ঊর্ধ্বে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সকল ধর্মের, অধিবাসীরা সমঅধিকারে বসবাস করবে- এটাই ধর্মনিরপেক্ষতা। এ থেকে সরবার কোন পথ নাই। অন্তত বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য উচিত নয়। পঞ্চদশ সংশোধনিতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং অবৈধ, অগণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ ও কেউ আসলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা একটি উল্লেখযোগ্য সংশোধন। ইহাতে রুদ্ধ হবে সামরিক সরকারের ক্ষমতায় আসা।
এছাড়াও  এ পঞ্চদশ সংশোধনীর আরো একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে বিচার বিভাগকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা। এই পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীতে আদীবাসিদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দেশে দুর্নীতি রোধকল্পে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সাংবিধানিকভাবে পরিপূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করা উচিত যাতে প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার। সর্বোপরি বলতে চাই, সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনার ভিত্তিতে। প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে গিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল না করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মৌলিক অধিকার হরণ করে জ্বালাও-পোড়াও হরতাল-অবরোধ পালনে বাধ্য না করে বিরোধীদলের উচিত এই সংশোধনীর কোন কোন বিধানে আপত্তি এবং তার পক্ষে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং জনমত গড়ে তোলা। অনুরূপভাবে সরকারি দলের উচিত সংশোধনীর পক্ষে ভালো দিকগুলো যুক্তিযুক্তভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা।

এই সংশোধনী বাতিল করে নতুনভাবে দেশের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা হউক
মো. জাবের আল-ওসমানী
১ম বর্ষ, ২য়  সেমিস্টার, রাজনীতিবিদ্যা বিভাগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সমপ্রতি পঞ্চদশ সংশোধনী বিল সংসদে পাস করা হয়েছে। কিন্তু আসলেই কি আমরা এই সংশোধনিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আসতে পেরেছি? আমরা আজীবন শুনছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি? বিষয়টি তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত। আর আওয়ামী লীগ যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে থাকে তাহলে জনগণের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে সংবিধান সংশোধন করত। কিন্তু তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রমাণ করল, তারা আসলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের জন্য পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেনি, করেছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন করার জন্য। নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত  করার জন্য।  গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর যখন তখন সংবিধান সংশোধনী সংস্কৃতিকে ফিরে আসতে হবে।  আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের মূল  চেতনা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। সংবিধান একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন বা বিধান।  কিন্তু প্রত্যেক সরকার দেশের সংবিধানকে জনগণের কল্যাণের কথা বলে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে কি ধর্মনিরপেক্ষতা? আল্লাহকে অবিশ্বাস করা? মুসলমানদের খুশি করার জন্য বিসমিল্লাহ বহাল রাখা? যেখানে আল্লাহকে বিশ্বাস করা হয় না এখানে বিসমিল্লাহ রাখার কোন প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ বলে , ধর্ম নিয়ে রাজনীতি তারা করে না কিন্তু তারা মুসলমানদের খুশি করার জন্য বিসমিল্লাহ বহাল রেখে প্রমাণ করল তারাও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। আর সকল ধর্ম যদি সমান হয় তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল কেন? এটিও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি।  আমরা সাধারণ নাগরিক চাই , কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা দলের জন্য যেন দেশের সংবিধান সংশোধন করা না হয়। সংবিধান সংশোধন করতে হবে  দেশের ১৫ কোটি মানুষের কল্যাণের জন্য।  আর আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যদি নাই রাখতে হয়, তাহলে রাজনীতিবিদদের বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে না। পঞ্চদশ সংশোধনীর ভাল দিক থাকলেও অধিকাংশ দিকই নেতিবাচক।  সর্বোপরি বলতে চাই, পঞ্চদশ সংশোধনী দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে না। দেশকে রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিবে। আমরা চাই সরকার , বিরোধীদল ও দেশের বিশিষ্টজনের মতামত নিয়ে এই সংশোধনী বাতিল করে নতুনভাবে দেশের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা হউক।

সাধারণ মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে
সচেতন করা উচিত
ফারহানা নার্গিস
এলএলবি (অর্নাস) ৮ম সেমিস্টার
উত্তরা ক্যাম্পাস
অতীশ দিপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সংবিধান সংশোধন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক পন্থা। সব সরকারই ক্ষমতা আটকে রাখার জন্য এ পন্থা অবলম্বন করে থাকে। সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। মূলত এটাতে জনগণের বা রাষ্ট্রের কোন কল্যাণ হোক বা না হোক রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু সুবিধা হয়ে থাকে। আমাদের রাষ্ট্রের শিক্ষার মান যেহেতু অনুন্নত সেখানে সংবিধান সংশোধন বা তার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে জনগণ মাথা ঘামায় না। আর তারা বুঝতেও পারে না। যদিও বলা হয়ে থাকে জনগণের স্বার্থে করা হচ্ছে। আমাদের সমাজে যারা উচ্চশিক্ষিত তাদের মাঝেও শতকরা ৭০% মানুষ বলতেই পারে না যে আমাদের সংবিধানে কি আছে আর কি পরিবর্তন হচ্ছে।
আজ যে দল ক্ষমতায় আছে কাল হয়তো তারা বিপক্ষে থাকবে আর তখন তারাও তাই করবে আজ যা বিরোধী দল করছে। এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ মানুষ কিসের ওপর নির্ভর করে বলবো যে যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে অথবা ঠিক হচ্ছে না। যেখানে দেশের জ্ঞানী-গুণী ক্ষমতাধর নেতারা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন না কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক নয় সেখানে আমাদের মত সাধারণ মানুষ যারা জীবনের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছি, তারা কিভাবে নির্ধারণ করবে সংবিধান সংশোধনী ঠিক নাকি ঠিক না।
একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি সংবিধান সংশোধনী নিয়ে দু’চার লাইন লিখে কিছু হবে না কারণ বিষয়টা এত ছোট কিছু না। সংবিধান সংশোধনীর বিশালতা ব্যাপক কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ সেখানে সংবিধান কি আর প্রয়োজনীয়তা বা কি সেটাই সঠিকভাবে বুঝি না, সেখানে সংশোধনী নিয়ে কি বা বলার থাকে। তবে সাধারণ নাগরিক হিসাবে মনে করি সংবিধান সংশোধনীতে অবশ্যই উভয়দলের সহযোগিতার প্রয়োজন। প্রয়োজন জনগণের মতামতের এবং জনগণের কল্যাণের সেসব দিকগুলো আগে সংশোধন করা যা একটা মানুষকে মানুষ হিসাবে রাষ্ট্রে টিকে থাকতে দেয়। রাজনৈতিক ক্ষমতায় টিকে থাকা না থাকার সংশোধনী সংবিধানের মূল বিষয় না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
অনুলিখন: তামিম মজিদ
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/32136/2011-07-31/19

জীবন বাচাঁনোর নাটক ‘ভাবমূর্তি’ : শাবি ছাত্র লতিফ কে বাচাঁতে হাত বাড়ান

তামিম মজিদ,শাবি
সিলেটনিউজ২৪.কম 



দরিদ্র পরিবারের ছেলে লতিফ ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন লেখাপড়া করে অনেক বড় হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। বিসিএস অফিসার হবেন।
শাবি’র পরিসংখান বিভাগের ছাত্র লতিফের সেসব স্বপ্ন আজ দূরারোগ্য ক্যান্সারের ( এডিনোকারসিনোমা) কাছে আক্রান্ত। অর্থের অভাবে তার জীবন প্রদীপ এখন নিভু নিভু।
মাদারীপুরের ছেলে আব্দুল লতিফ। পাচঁ বছর বয়সেই তার বাবাকে হারায়। পরিবারের একমাত্র ছেলে। বাধ্য হয়েই মা পরিবারের হাল ধরেন ।  অনেক কষ্ট করে মা তার ২ বোন ও তাকে লালন পালন করে বড় করেন। বাবা যেহেতু নেই পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েন  লেগেই থাকত।
গ্রামের স্কুলে  প্রাইমারি পাশ করার পর  লতিফ যখন হাই স্কুলে ভর্তি হন তখন থেকেই তাকে অনেক সংগ্রাম করে পড়ালেখা করতে হয়েছে। স্কুল জীবনেই টিউশনি করে  লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়েছে। পাশাপাশি পরিবার চালানোর জন্য মাঝে মধ্যে মাকে সাহায্য করতেন। প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন ছোট বেলা থেকেই। ২০০১ সালে এসএসসি সাফল্যের সাথে উত্তির্ণ হন।
এইচএসিতে ভর্তি হন স্থানীয় কলেজে। এইচএসিতে এ’প্লাস পেয়ে উত্তির্ণ হন। মেধাবী ছাত্র থাকায় তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

অদম্য মেধার অধিকারী লতিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেন। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সাথে ভর্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হন। ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন পরিসংখান বিভাগে।
 সে এখন মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের ছাত্র। টিউশনি করে পরিবার ও  নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী টাকার অভাবে তার জীবন হার মেনে যেতে বসেছে। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের কাছে তার লালিত স্বপ্নে এখন কালো মেঘের ছায়া।
‘মানুষ মানুষের জন্য--জীবন জীবনের জন্য’ এই দায়বদ্ধতার টানে লতিফের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নাট্য সংগঠন থিয়েটার সাস্ট। লতিফের জীবন বাচাঁনোর জন্য আয়োজন করেছে নাটক ‘ভাবমূর্তি’। নাটকের টিকেটের সমুদয় অর্থ তার চিকিৎস্বার্থে পরিবারের কাছে দেয়া হয়। গতমঙ্গলবার   বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোডিরয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় নাটক ‘ভাবমূর্তি’ প্রদর্শন করা হয়। লতিফের টানে উক্ত প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড় ।
লতিফ এখন মহাখালী ক্যান্সার  হাসপাতালে ডাঃ সাঈদা আক্তারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতা মহাত্মা গান্ধী ক্যান্সার রিসার্চ ইনষ্টিটিউটে নেয়া হচেছ। তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সমাজের বিত্তশালীদের আর্থিক সহায়তাই মেধাবী  লতিফের জীবন ফিরে পেতে পারেন।  লতিফকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা ,হিসাব নং ১১৮-১০১-১৭৮০৭৩ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
http://www.sylhetnews24.com/detailsnews.php?sn24id=299a23a2291e2126b91d54f3601ec162&sl=201108021060

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১১

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘চেতনা ৭১’

বৃহস্পতি, ২৮ জুলাই ২০১১, ১৩ শ্রাবণ ১৪১৮




শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেটবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধারণ করে রাখতে ভাস্কর্য নির্মাণ করার জন্য প্রগতিশীল ও মুক্ত চর্চায় বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের  প্রাণের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু নানা বাধাবিপত্তির কারণে আর সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য থাকলেও ছিল না শুধু শাবিপ্রবিতে। তাই শিক্ষার্থীদের সে স্বপ্নকে পূরণ করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায় দেড় বছর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৯তম সিন্ডিকেট সভায় ভাস্কর্য নির্মাণের ব্যাপারে অনুমোদন দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন আজও নির্মাণ করতে পারেনি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। আর তাই  প্রশাসনের  কাজের মন্থর গতি দেখে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই উদ্যোগ নেয় পকেট থেকে টাকা তুলে ভাস্কর্য নির্মাণ করার। তাদের সেই সিদ্ধান্তটি আজ বাস্তব হতে চলছে।
দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও ধৈর্য্যের সাথে এগুতে থাকে বাস্তব স্বপ্নটি। প্রশাসন কথা রাখেনি, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সেই অমোঘ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রথমে একাডেমিক ভবন-এর পাশে ‘চেতনা-৭১’ নামের একটি অস্থায়ী প্রতীকী ভাস্কর্য স্থাপন করে। শিক্ষার্থীদের সেই দাবীকে হারিয়ে যেতে দেয়নি ২০০৫/০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ কাজের জন্য (২০০৫-০৬) সেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি অর্থায়ন করেছে প্রথম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকও অর্থায়ন করেছে। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ বিল্ডিংয়ের উত্তর পার্শ্বে চেতনা ৭১ নামের ভাস্কর্যটি নির্মিত হচ্ছে। আগামী ২৮ জুলাই ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
ভাস্কর্যের বর্ণনাঃ  নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি নৃপল খান। আর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছে তারই সংগঠন ‘নৃ’ এর স্কুল অব স্কাল্পচার। ভাস্কর্যটিতে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেলে ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উঁচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং ছাত্রীর হাতে বই, যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবনগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লট ৩টা বানানো হবে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটার ব্যাস হবে ১৫ ফুট, মাঝের প্লেটের ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং উপরের প্লেট হবে ১২ ফুট। প্রত্যেকটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উঁচু হবে। প্লেট ৩ টার উপরে মূল বেদিটি হবে ৪ ফুট উঁচু, তার উপরে ৮ ফুট উঁচু ফিগার। মুক্তবুদ্ধি চর্চায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী এখন বাস্তব অঙ্কুরোদগমের দিকে। ভাস্কর্যটির শুভ উদ্বোধন করার মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্ম নিবে এক নব ইতিহাসের।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/31195/2011-07-28/21

ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি

লেখক: তামিম মজিদ  |  বৃহস্পতি, ২৮ জুলাই ২০১১, ১৩ শ্রাবণ ১৪১৮
কৃষি, খাদ্য ও চা শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আপনি যদি যদি দক্ষ খাদ্য ও চা প্রকৌশলী হতে চান তাহলে পড়তে পারেন দেশের একমাত্র শাবিপ্রবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগে।
গোড়ার কথাঃ একঝাঁক মেধাবী দক্ষ খাদ্য ও চা প্রকৌশলী তৈরির লক্ষ্যে দেশে একমাত্র সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ‘টি টেকনোলজি’ বিভাগ খোলা হয়। যাত্রা শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের মন আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় নতুন এই বিষয়টি। শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয়ের র্যাংকিংয়ে প্রথম দিকে অবস্থান এফইটিটি। ২০০৪-০৫ সেশনে বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর যুগের চাহিদার সাথে কর্মক্ষেত্র প্রসার ও খাদ্য শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ জোগানের লক্ষ্যে ২০০৫-০৬ সেশনে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করে ‘ফুড এন্ড টি টেকনোলজি’ বিভাগ নামধারণ করে। অবশেষে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি’ বিভাগ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকৌশল বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সমপ্রতি বিভাগে মাস্টার্স কোর্সও চালু করা হয়েছে।
কীভাবে ভর্তি হবেনঃ এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার জন্য সার্কুলার দেয়া হয়। ভর্তি সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় জানতে www.sust.edu লগইন করলে ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন। আপনার রেজাল্ট যদি এসএসসি ও এইচএসসি উভয় মিলে ৬.৫ পয়েন্ট থাকে তাহলে আপনি ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এ বিভাগের ৩০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়।
কি পড়ানো হয়ঃ বর্তমান বিশ্বে চাহিদাসম্পন্ন বিষয় হিসেবে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি আলাদা একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের স্বল্পসংখ্যক      মেধাবী শিক্ষার্থীই এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। খাদ্য ও চা শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষ প্রকৌশলী এবং গবেষক হিসেবে গড়ে তুলতে এ বিভাগের আওতায় পড়ানো হয় ফুড প্রিন্সিপ্যাল অফ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন, সেফটি এন্ড সেনিটেশন অফ ফুড ইন্ডাস্ট্রি, ইউনিট অপারেশন অফ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইন ফুড এন্ড টি ইন্ডাস্ট্রি, টি ফিজিওলজি, এ্যাগ্রো টেকনোলজি অফ টি, জেনেটিক্স এন্ড টি ব্রিডিং, টি ম্যানুফেকচারিং এন্ড প্যাকেজিং, এ্যানটোলজি এন্ড প­্যান্ট প্যাথোলজি অফ টিসহ মোট ১৬২ ক্রেডিটের নানা বিষয়।
কর্মক্ষেত্রঃ বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগটি নতুন সৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় এর কর্মক্ষেত্র রয়েছে। বিভিন্ন চা এস্টেট ও খাদ্য শিল্প এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মূল কর্মক্ষেত্র। প্রকৌশল ডিগ্রি থাকায় খাদ্য ও চা শিল্পে এফইটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এছাড়া চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবেও এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/31203/2011-07-28/21

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১১

সিলেটের প্রথম ভাস্কর্য শাবিতে, ‘চেতনা ৭১’ উদ্বোধন ৩০ জুলাই

তামিম মজিদ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় :




বৃহত্তর সিলেটের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে । প্রতিষ্টার ২১ বছর পরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ও তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে মৌলবাদীদের বাধাঁ উপেক্ষা করে চেতনা ৭১ নামের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসের এ বিল্ডিংয়ের উত্তর পার্শ্বে নির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হবে আগামী ৩০শে জুলাই। ভাস্কর্যের উদ্বোধন করবেন শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক সালেহ উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫/০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে ও প্রথম ব্যাচের (১৯৯০-৯১) শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তায়  সিলেট বিভাগে এই প্রথম ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবিবার দুপুর ১২টায় শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চেতনা ৭১ ভাস্কর্য কমিটির সদস্য সচিব ও শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী খুরশীদ আলম হিতু। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাস্কর্য কমিটির সদস্য সাজ্জাদ শাহ ফয়সাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহবায়ক ফেরŠস হাসান । নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি মোবারক হোসেন নৃপল । আর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছে তারই সংগঠন ‘নৃ’ এর স্কুল অব স্কালচার।
ভাস্কর্যটিতে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেলে ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং  ছাত্রীর হাতে বই,যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুতারোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবন গুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লেট ৩ টা বানানো হবে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটার ব্যাস হবে ১৫ ফুট,মাঝের প্লেটের ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং উপরের প্লেট হবে ১২ ফুট। প্রত্যেকটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উচু হবে। প্লেট ৩ টার উপরে মুল বেদিটি হবে ৪ ফুট উচু, তার উপরে ৮ ফুট উচু ফিগার। ক্যাম্পাসে ভাস্কর্য নিমর্অণের মধ্য দিয়ে প্রগতিশীল ও মুক্ত চর্চায় বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের  দীর্ঘদিনের  প্রাণের দাবী ছিল পূরণ হবে।

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১১

শা’বিতে ৩ টি উপ-গ্রুপে বিভক্ত ছাত্রলীগে কোন্দল চরমে : কমিটি নিয়ে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

শাবি প্রতিনিধি
সিলেটনিউজ২৪.কম







সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলীয় কোন্দল এখন চরমে।
ছাত্রলীগের পূণার্ঙ্গ কমিটির বিভিন্ন  পদ নিয়ে গ্র“প গুলোর মধ্যে অসন্তুষ্টি ও কোন্দল দেখা দিয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগে ৯টি গ্র“প থাকলেও বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৩ টি উপগ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়েছে শাবি ছাত্রলীগ।

পদ নিয়ে কোন গ্র“পই কেউ কাউকে  ছাড় দিতে নারাজ। বিভিন্ন গ্র“পের দাবী অনুযায়ী পদ দিতে না পারায় আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমনের সাথে বিভিন্ন গ্রুপের নেতাদের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের গ্র“প গুলো যে কোন সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশাংকা করছেন সাধারন নেতাকর্মীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ এপ্রিল ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে আহবায়ক, ৬ জন যুগ্ম আহবায়কসহ মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বিধান রাখা হয়। উক্ত আহবায়ক কমিটিকে ৯০দিনের মধ্যে বাকী ৪৪টি পদ পূরণ করে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগে ৯টি গ্র“প থাকলেও বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৩ টি গ্র“প- উপগ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমন, যুগ্ম আহবায়ক নাঈম হাসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কামরুজ্জামান সুইট, মাহিবুল হাসান মুকিত, আতিকুর রহমান আতিক মিলে একটি গ্র“প।
হাফিজ সহ গ্র“পের সিনিয়র নেতাকর্মী মিলে ১টি ও অপর একটি গ্র“প হচ্ছে আহবায়ক কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা প্রজন্ম-৭১ গ্র“পের নেতা অঞ্জন রায়, সানি-পলাশ গ্র“প, রাশেদ, সৈকত, গ্র“প, ও সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল্লাহ মারুফ, জুয়েল, নিয়াজ, হাসান,বাপ্পিসহ তাদের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতারা।
 পূর্ণাঙ্গ কমিটির পদ পেতে ও নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে হাফিজ গ্র“প ও পদবঞ্চিতরা গ্র“পের নেতাকর্মীরা গত কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে শোডাউন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, পূর্নাঙ্গ কমিটির পদ  নিয়ে একেক গ্র“প একেক রকম দাবী করছে। এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
গত ১৪ জুলাই হাফিজ  গ্র“পের কর্মীদের নিয়ে বিশেষ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ ৪৪টি পদের মধ্যে গ্র“পের নেতাকর্মীদের চাপে ২০টি পদ দাবী করেছেন।  নেতাকর্মীদের  দাবির প্রেক্ষিতে গ্র“প লিডার হাফিজ দাবিকৃত পদ এনে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
তবে পদ নিশ্চিত করার জন্য আহবায়ক কমিটির সাথে তিনি কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে আহবায়ক কমিটি থেকে কোনো সাড়া পাননি বলে জানা গেছে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে  বৃহস্পতিবার  ঔই গ্র“পের নেতাকর্মীরা সৎ,যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবিতে ক্যম্পাসে শোডাউন দিয়েছে।
এছাড়া , অপর গ্র“প গুলোও কেউ ১০টি কেউ ১৫টি এরকম দাবী করে আসছে। গ্র“পের দাবী অনুযায়ী পদ দিতে হলে একশতরও বেশী পদ সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গ্র“প গুলোর চাহিদা অনুযায়ী পদ না থাকা ও এ অবস্থায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমন।  কমিটিতে পদ না পাওয়ার আশাংকায় বিভিন্ন গ্র“পে ভাঙ্গনের আশংকা দিয়েছে। কয়েকটি গ্র“প ভেঙ্গেও গিয়েছে।
শাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক  হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ছাত্রলীগে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমি যে দাবী ২০টি পদের করেছি তা যুক্তিসংগত। কারণ আমার গ্র“পে ত্যাগী নেতারা আছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক সামছুজ্জামান চৌধুরী সুমন বলেন, সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত ও আবেদন করতে হয়। আবেদন চাওয়ার পর তারা তা না করে ক্যাম্পাসে শোডাউন করছে। গ্র“প গুলোর পদের দাবীর ব্যাপরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে গ্র“প অনুযায়ী কোন পদ দেওয়া হয় না। নিদিষ্ট করে কোন পদ দেয়নি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।  ছাত্রলীগে কোন অসাংগঠনিক কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি  ব্যবস্থা নেবে।

http://www.sylhetnews24.com/detailsnews.php?sn24id=fec8d47d412bcbeece3d9128ae855a7a&sl=20110723982

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১১

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ডিজিটাল ক্যাম্পাসে আড্ডাই স্টাডির প্রেরণা

তামিম মজিদ
সিলেটনিউজ২৪.কম



দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন রকম আড্ডা। আড্ডা ক্যাম্পাসের একটি পরিচিত নাম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আছে, আর আড্ডা থাকবে না এটাতো কল্পনাই করা যায়না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আড্ডা ভিন্ন রকম। ডিজিটাল ক্যাম্পাসে আমাদের আড্ডা অন্যরকম।
 আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু থেকেই সেমিস্টার পদ্ধতি চালু থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চাপটা অনেকটা বেশী। তাই বেশীর ভাগ আড্ডার বিষয় হতে হয় পড়ালেখা কেন্দীক। তাই শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের আড্ডা  মানেই স্টাডি করা। আড্ডাই স্টাডির প্রেরণা। আড্ডাই ক্যাম্পাসের প্রাণ। এখানে ল্যাপটপ নিয়েই আড্ডা চলে বেশী। ক্যাম্পাসের সবর্ত্র ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ল্যাপটপ নিয়ে চলে গ্র“প ভিত্তিক আড্ডা ।
 আড্ডায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকমের বই,জার্নাল ফ্রি ডাইনলোড করে স্টাডি করে। আর ফাকেঁ কিছু সময় পেলেই ফেইসবুক এবং অনলাইন পত্রিকা পড়ে সময় কাটায়। ডিজিটাল ক্যাম্পাসের সকল আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও ক্যাম্পাসের সবর্ত্র  ফ্রি  ওয়াইফাই সুবিধা আছেতো আর তাই বই, জার্নাল ডাউনলোড ও ফেইসবুক ব্যবহার করবে না এটাতো হতেই পারে না। আর এই আড্ডার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক নতুন জ্ঞান লাভ করে। আবার আড্ডার মাধ্যমে অনেকের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠে। গড়ে উঠে বন্ধুত্বের বন্ধন।
বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও মুক্ত বুদ্ধি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শুধু শ্রেণীকক্ষ বা গবেষণা কেন্দ্রিক নয়। শ্রেণীকক্ষ বা গবেষণার বাইরেও রয়েছে শিক্ষা অর্জন ও মুক্তি বুদ্ধি চর্চার অনেক মাধ্যম। আড্ডার মাঝে একজন শিক্ষার্থী খুজেঁ পায় নতুন জ্ঞান। আর এই আড্ডাটা অবশ্যই হওয়া চাই সৃজনশীল,যার মধ্যে থাকবে শিক্ষামূলক,বিনোদনমূলক কিছু বিষয়বস্তু,যা শিক্ষার্থীদের মনের খোরাক যোগাবে। এর মধ্যে উঠে আসে কিভাবে স্টাডি করলে ভাল রেজাল্ট করা যায়। আর ভাল ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা ভাবনাতো আছেই।
এছাড়া আড্ডায় ব্যক্তিগত , পারিবারিক, দেশের রাজনীতি ও সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিষয় গুলো ফুটে উঠে। অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের আড্ডাবাজ দীপান্নিতা,বাধঁন,মাজহারুল,সাঈদা,পাপিয়া,বদরুল,কান্তা,মুস্তাফিজ ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের মিঠুন, ঔশী, তুলি, মাশকুরা, তান্নি ও জয়ন্ত বলেন,আড্ডা ছাড়া ক্যাম্পাসে ভালোই লাগে না। আড্ডার মধ্যে অনেক জ্ঞান লাভ করা যায়। গ্র“প ভিত্কি আড্ডা অনেক জটিল প্রশ্নের সমাধান করা যায়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলা ভূমি আধ্মাতিক নগরী সিলেটে অবস্থিত দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। ফটক দিয়ে  ঢুকলেই চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশে সারি সারি  মেহগণি,জারুল,কড়ই,নারকেলসহ শতাধিক প্রজাতির গাছের নয়াভিরাম দৃশ্য। রাস্তার দু’পাশে নজরকাড়া বৃক্ষ সুশোভিত সুদীর্ঘ লেকটি। লেকের অপূর্ব নীল জলরাশিতে নানা প্রজাতির মাছ যেকোন পথিককে বিমোহীত করে।
প্রধান ফটক থেকে প্রথমেই রাস্তা ডান পাশে রয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমিটারি এরপর গেস্ট হাউস আইস চ্যান্সেলর’স বাংলো। একটু সামনে বাম পাশে গেলেই ইউনভার্সিটি স্কুল। তার পর চোখে পড়বে  দৃষ্টি নন্দন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। সামনে গেলে গোল চত্বর,প্রশাসনিক ভবন, প্রেম চত্বর, সেন্টাল লাইব্রেরী ভবন, অর্জুন তলা ও সকল একাডেমিক ভবন। এ  বিল্ডিংয়ের পাশেই রয়েছে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য।

ক্যাম্পাসে আড্ডার স্পট, ক্যাম্পাসে মূলত আড্ডা বেশী হয়ে থাকে গোল চত্বর, প্রেম চত্বর, অর্জুন তলা, লাইব্রেরী ভবনের পাশ, ডি বিল্ডিং ও ই বিল্ডিং পেছনের দিক, শহীদ মিনার,ছাত্রী হলের পাশের টিলা ও সেন্টাল অডিটোরিয়াম। ক্যাম্পাসে এসব স্থানেই আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। গ্র“প ভিত্তিক ল্যাপটপ নিয়ে আড্ডা চলে লাইব্রেরী ভবনের সামনে,অর্জুন তলা, ডি বিল্ডিং ও এ বিল্ডিংয়ের পাশে। লাইবেরী ভবনের ডান পাশে সংস্কৃতি কর্মীরা বেশী আড্ডা দিয়ে থাকে। আর প্রেমীক যুগলরা প্রেম চত্বর, শহীদ মিনার, ছাত্রী হলের পাশের টিলা ও সেন্টাল অডিটোরিয়ামের পাশে আড্ডা দিতে বেশী পছন্দ করে।

শাবি ছাত্রদল চুপচাপ

লেখক: শাবি প্রতিনিধি  |  শুক্র, ২২ জুলাই ২০১১, ৭ শ্রাবণ ১৪১৮
অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে তাদের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে তাদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শাখা ছাত্রদল।
 ২০১০ সালে গঠিত আহবায়ক কমিটিতে কয়েকজন নিষ্ক্রিয় নেতাকে পদ দেয়ায় সৃষ্টি হয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এখন দু’ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ (এসএম ) জাহাঙ্গীর। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম আহবায়ক সুদীপ জ্যাতি এষ। ক্যাম্পাসের বাইরে আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ (এসএম ) জাহাঙ্গীর গ্রুপ কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করলেও অপর যুগ্ম আহবায়ক সুদীপ জ্যাতি এষ গ্রুপের কোন কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায় না।
বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। শীঘ্রই নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার দাবী জানিয়েছেন অধিকাংশ নেতাকর্মী। বিগত কমিটির ৩ জন যুগ্ম আহবায়কের  ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
তরুণ মেধাবী ছাত্রদল নেতা মাজহারুল হক সরকার বলেন, ছাত্রদলের নেতৃত্বে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। মেধাবীদের দিয়ে আগামী নতুন কমিটি গঠনের জন্য ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহবান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন না করার মূল কারণ প্রশাসনের অসহযোগিতা ও ছাত্রলীগের চাপ। আমরা সংগঠিত হচ্ছি। যেকোন সময়  আমরা ক্যাম্পাসে শো-ডাউন দিব।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/30072/2011-07-22/45


শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র


তামিম মজিদ,শাবি : নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে,ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি ,বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসের টিলার পাশ গুলোতে চুটিয়ে চুটিয়ে ঘুরে সময় কাটায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা,দীপান্নিতা,শান্তা,মাজহারুল,বদরুল,কৌশিক,কান্তা,তাসনিম,তাহমিনা,পাপিয়া,মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি,তান্নি,ঐশি,মঞ্জু,বাবলি,নুরুল, মঠুন,জয়ন্ত,মাশকুরা,আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে শাহপরাণ হল,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্টাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্ণারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই্। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই। কোন অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে। কার আগে কে বাসে উঠতে পারে,বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগীতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেবাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাটখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটেনা অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগ্যতা হেটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার স্বীকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস। ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। আবার অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে। পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শত শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার ভিলেজ পলিটিক্স করতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষাথীর্রা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদেরকে। তাই বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের সঙ্গী।তামিম মজিদ,শাবি : নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে,ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি ,বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসের টিলার পাশ গুলোতে চুটিয়ে চুটিয়ে ঘুরে সময় কাটায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা,দীপান্নিতা,শান্তা,মাজহারুল,বদরুল,কৌশিক,কান্তা,তাসনিম,তাহমিনা,পাপিয়া,মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি,তান্নি,ঐশি,মঞ্জু,বাবলি,নুরুল, মঠুন,জয়ন্ত,মাশকুরা,আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে শাহপরাণ হল,সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্টাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্ণারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই্। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই। কোন অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে। কার আগে কে বাসে উঠতে পারে,বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগীতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেবাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাটখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটেনা অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগ্যতা হেটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার স্বীকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস। ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। আবার অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে। পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শত শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার ভিলেজ পলিটিক্স করতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষাথীর্রা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদেরকে। তাই বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
http://bangladeshbarta.com/2011/07/21/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87/

গ্রুপস্টাডির মাধ্যমে কঠিন বিষয়সহজ হয়

লেখক: তামিম মজিদ  |  বুধ, ২০ জুলাই ২০১১, ৫ শ্রাবণ ১৪১৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়মিত ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট ও টার্মটেস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের চিত্র। আর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঝামেলা তো আছেই। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্লাসের ফাঁকে কিছুটা সময় পেলেই শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করে ও আবার কেউ কেউ আড্ডায় মেতে ওঠে । বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই ক্লাসের ফাঁকের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে, ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বই জার্নাল ডাউনলোড, ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, গ্রুপ স্টাডি, গান ও আড্ডা দিয়ে সময়টা কাজে লাগায়। লাইব্রেরী ভবনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। লাইব্রেরীতে স্টাডি, বই নেয়া ও পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি লাইব্রেরী ভবনের ৪র্থ তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল বই পাওয়া যায়। এভাবেই ক্যাম্পাসে দিন কাটে শিক্ষার্থীদের।
অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাঈদা, দীপান্বিতা, শান্তা, মাজহারুল, বদরুল, কৌশিক, কান্তা, এমদাদ, তাহমিনা, পাপিয়া, মনোয়ারা ও সমাজকর্মের তুলি, তান্নি, ঐশি, বাবলি, নুরুল, মিঠুন, জয়ন্ত, মাশকুরা, আতিক ও মোল্লা নাসির জানান, গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। আর আড্ডা ছাড়াতো ক্যাম্পাস জীবন অর্থহীন। আড্ডা মাধ্যমে সবার মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে নতুন সম্পর্ক।
আর আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিকেলে    শাহপরান হল, সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ১ম ছাত্রী হলের পাশে আড্ডা দেয়। এছাড়াও শহীদ মিনার, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম, ভালোবাসা চত্বর, গোল চত্বর ও ফুডকোর্ট কর্নারে আড্ডা বেশী হয়ে থাকে। আর আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই।  হলে পানি সংকট ও  খাবার সমস্যা প্রকট। ডাইনিংয়ে  খাবার আছে অথচ খাবারে পুষ্টি নেই। হলের আশপাশে ফুডকোর্ট ও দোকান নেই।  অন্তহীন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা সারা দিনের ক্যাম্পাসের ক্লান্তি  শেষে বাসে উঠতে গিয়ে  শিক্ষার্থীদের নামতে হয় আরেক যুদ্ধে।  কার আগে কে বাসে উঠতে পারে, বাসে উঠার পর শুরু হয় সিট দখলের প্রতিযোগিতা। সিট না পেয়ে দাড়াঁনোর জায়গা নিশ্চিত করতেও উঠতে হয় আগেভাগে। প্রায়ই পা ফেলার জায়গাটুকুর জন্য পোড়াতে হয় অনেক কাঠখড়। কখনো সে সুযোগটাও জোটে না অনেকের ভাগ্যে। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর থেকে অগত্য হেঁটেই যেতে হয় এক মাইল পথ। টমটম ও রিকশা পেতেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এভাবেই ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরতে বিড়ম্বনার শিকার হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। শাবিপ্রবিতে প্রতি বছর বিভাগ ও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না আবাসিক হল ও পরিবহন বাস।  ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিআরটিসির ভাড়া করা ৮টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস অপ্রতুল। অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বন্ধ থাকে।  পরিবহন সমস্যা থাকায়  বিগত সময়ে বাসে উঠা নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। ৩টি হলে মাত্র আবাসিক সুবিধা পান প্রায় ১৪শ শিক্ষার্থী। হলে সিট পেতে  হলে আবার নানা বেগ পোহাতে হয়। আবাসিক সমস্যা প্রকট থাকায় শহরে থাকতে হয় প্রায় ৮৬ ভাগ শিক্ষার্থীকে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সিলেট শহরের প্রত্যেক এলাকায় শিক্ষার্থীরা মেস বা বাসা নিয়ে থাকলেও সব জায়গায় যায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এজন্য ভোগান্তি পোহতে হয় তাদেরকে। বিড়ম্বনা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।